Monday 27 April 2020

করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় এন্টিজেন টেস্ট পিসিআর টেস্ট এর বিকল্প হতে পারে .

THE RIGHT THINKING 24
করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় এন্টিজেন টেস্ট পিসিআর টেস্ট এর বিকল্প হতে পারে .

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝলাম তা শেয়ার করতে চাই। আমাদের ডব্লিউএইচও গাইডলাইন মেনে চলতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিও সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োগ করতে হবে আমাদের সীমিত সম্পদ এবং সীমিত সক্ষমতার কথা মাথায় রেখে।
র‌্যাপিড এন্টিবডি টেস্টিং হু সমর্থন করে না। আমিও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না কারন এন্টিবডি টেস্টিং হলো কোনো মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ণয় করা যেমন কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না বা তাকে কিছু করতে পারবে না কারন তার মধ্যে ভাইরাসকে মোকাবেলা করার মতো প্রতিরোধী সক্ষমতা আছে। আমার কথা হলো একজনকে এন্টিবডি টেস্ট করে দেখলাম সে করোনা প্রতিরোধী সক্ষমতা সম্পন্ন কিন্তু কতক্ষন তার এই সক্ষমতা থাকবে তা চূড়ান্ত না কারন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কমে। যেমন এই মানুষটা যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে তখন যদি সে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসে সেতো আক্রান্ত হবেন কারন তার শরীরের সেই করোনা প্রতিরোধী শক্তি কমে যাবে। কার কার করোনা হবে না তা চিহ্নিত করে বলার তেমন প্রয়োজন নাই যার করোনা হবে না , তো হবে না সে কাজ কর্ম করুক অসুবিধাতো নাই। যার ফলে আমিও এইসময় সরকারিভাবে গণহারে এই রেপিড এন্টিবডি টেস্ট প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না তবে মানুষ নিজেরা করতে পারে ভয়মুক্ত থাকার জন্য নিজ খরচে যেহেতু ২/৩ শ টাকা খরচ হবে।
এখন এন্টিজেন টেস্ট, এটা মানুষের শরীরে ভাইরাস আক্রমন করছে কিনা তার চিহ্ন বা প্রমাণ খুঁজে অর্থাৎ সে ভাইরাসে আক্রান্ত বা আক্রান্ত হয়েছিল। এটা বেশি করে খুঁজে বের করাই এই মুহূর্তে আমাদের কাজ যা পিসিআর টেস্ট করছে। পিসিআরে আমাদের সমস্যাটা হলো এটার খরচ যা কিনা ৫০০০ টাকা , যার ফলে গণহারে ১৭ কোটি মানুষের টেস্ট করা সম্ভব না। কিন্তু আমরা শুনেছি গণস্বাস্থ্য ৩০০ টাকা দিয়ে এন্টিজেন ও এন্টিবডি দুটোই টেস্ট করতে পারবে। এটা সম্ভব হলে শুধু বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বে এই এন্টিজেন কীট কিনবে এর কম দামের জন্য। কারন পিসিআরে টেস্ট সব দেশেই ব্যায়বহুল। এন্টিজেন কীট বিশ্বে আমাদের মাথা উঁচু করবে। পিসিআর টেস্ট ৯৮-১০০% সফল কিন্তু গণস্বাস্থ্য দাবি করছে তাঁদের এন্টিজেন টেস্টিং কীট ও ৯৫% এর ওপরে সফল। যদি ৫০-৬০% ও সফল বা আরো কম সফল হয় তাতেও অনেক লাভ বলে আমি মনে করি।
যেমন কারখানায় ৫০০ জন কাজ করে , এর মধ্যে একজন আক্রান্ত হলো আর পিসিআরে ধরা পড়ছে , এখন তার সংস্পর্শে আসা সকলেই টেস্ট করা দরকার এই ৫০০ জনকেই। পিসিআরে করতে লাগবে 25 লক্ষ টাকা। আর এই ৫০০ জন কে এন্টিজেন কীট দিয়ে যদি ৫০% বের করা যায় যে করা করা আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্তের চিহ্ন বা প্রমান আছে তাতেও তো অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। এন্টিজেন টেস্টে যাদের আক্রান্তের প্রমাণ পাওয়া গেলো না আমরা শুধ তাঁদের পিসিআর করতে পারি ১০০% নিশ্চিত হতে। যার ফলে এন্টিজেন টেস্ট কীট যত কার্যকর তত আমাদের খরচ কম হবে যদি সত্যিই ৯০-৯৫% হয় তাহলে তো গর্ব করার মতো জিনিস।
এখন এক জন আক্রান্ত হলে তার আশেপাশের পুরো পরিবার , আত্বিয়, এলাকার সব টেস্ট করা দরকার কারণ সামাজিক সংক্রমণ অনেক বেশি হচ্ছে। আর এর জন্য দরকার র‌্যাপিড টেস্টিং যা আমাদের সক্ষমতায় এন্টিজেন কীট টেস্টিং। যার ফলে এখন শুধু করোনা রোগীর রক্ত নিয়ে ২/৩ শ পরীক্ষা করে দেখেই গণস্বাস্থ্যের এই এন্টিজেন কীট ব্যাপকহারে ব্যাবহার শুরু করা উচিত। তারপর তা বাজারে কীট হিসেবে বিক্রির জন্য ওষুধ প্রশাসনের বিধি মুতাবেক রেজিষ্ট্রেশন করে সব প্রক্রিয়া মেনে বাজারে আসুক। আপাতত এটা দ্রুত ব্যাবহার শুরু করা দরকার শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে সময় নষ্ট না করে যদি সত্যিই কীটটা কর্যকরী হয়।
দরিদ্র দেশগুলোতে এই এন্টিবডি ও এন্টিজেন টেস্ট হতে পারে আর্শীবাদ কারণ এর স্বল্প ব্যায়ের জন্য। বাংলাদেশে একদল চিকিৎসা বিজ্ঞানী গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল চ্যারিটির ট্রাস্টি  ডাঃ ফাজারুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ড বিজন কুমার সীল , ড ফিরোজ সহ আরো কয়জন মিলে এন্টিবডি ও এন্টিজেন টেস্টিং কীট আবিষ্কার করেছেন যা এখন সরকারিভাবে টেস্টিং এর অপেক্ষায় আছে। আমেরিকার সিডিসি গ্রহণ করেছে এর কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য।