Thursday 3 December 2020

পুস্পস্তবক ও ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি বিতর্কে বর্তমান যুগের ইসলামী ভাবনা ?

THE RIGHT THINKING 24


পুস্পস্তবক ও ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি বিতর্কে বর্তমান যুগের ইসলামী ভাবনা  ?






 
কবরে বা প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো  ইসলাম সমর্থন করে না, শুধু দুআ পাঠ করা যায় আত্মার শান্তির জন্য  কিন্তু ফুল দেওয়াটা এটা একটা রাজনৈতিক চর্চা মাত্র, কোনো ইসলামী বা অন্য কোনো ধর্মের বিধান চর্চা নয় বরং শুধু রাজনৈতিক চর্চায় শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যদিও ইসলাম অনুসারে কিছুটা পাপ হয়। আমরা অইসলামিক  নিয়মে প্রথায় গনত্রান্তিক রাজনৈতিক চর্চা করি। তাই সব প্রথা নিয়ম ইসলামের সাথে মিলবে না।মানুষের , প্রাণীর ,নেতার ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি ইসলামে বানানো নিষেধ  কারণ আগে মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে তাঁদের নেতার মূর্তির বা প্রতিকৃতিটির শ্রদ্ধা করতে করতে একসময় তাদেরকে দেবতা মনে করে পূজা করতে শুরু করেছিল  কিন্তু রাষ্ট্রে আমরা ইসলামের পরিবর্তে সাধারণ আধুনিক গনত্রান্তিক রাজনীতির চর্চা করি। এটা  হলো ইসলামের সাধারণ কুরআন হাদীসগত নিয়ম কিন্তু মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন যুগের সাথে যখন কিছু নতুন বিষয়ের উৎভব হবে তখন ইসলামী চিন্তাবিদ বিশেষজ্ঞগণ ঐ  বিষয়ে ইসলামী মতামত দিবেন তা গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কেউ গ্রহণ না করলেও পাপ হবে না। 

১. পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো রাজনৈতিক নেতাদের, এটা কি ইসলাম সম্মত ?

ইসলাম হল শান্তির ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সকল মানবজাতির জন্য। মানুষ খাবার খাওয়া বা কি কি খাবার খাবে তা থেকে সমাজ , দেশ, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা খলিফা কিভাবে চলবে বা রাষ্ট্র চালাবে এবং বেতন ভাতা কিববে কি করবে সব বলা আছে এবং মহাম্মদ (সাঃ ) তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্ম গুরু এবং খলিফা বা রাষ্ট্রপতি। মানবজাতির সবাই ইসলাম গ্রহণ করবে না , তাই তাদেরকে নিয়েই কিভাবে ম্যাজোরিটি মুসলমানের রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র  পরিচালিত হবে তা ইসলামে আছে এবং অন্য ধর্মের মানুষের রাষ্ট্রের বা সরকার ব্যাবস্থার অধীনে কিভাবে মুসলমান ইসলামী জীবন যাপন করবে তাও বলা আছে। 

পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরী হয়েছিল ইসলামী রাষ্ট্র তৈরী বা ইসলামী বিধান সংস্কৃতি মেনে একটা রাষ্ট্র ব্যাবস্থা গড়ে তুলার লক্ষ্যে  যা হবে ব্রিটেনের মতো আধুনিক গনত্রান্তিক সরকার কাঠামোয় তবে ইসলামী শরিয়া আইনে  নয়,আধুনিক ব্রিটিশ আইনি ব্যাবস্থাপনায় অর্থাৎ রাষ্ট্রের মেজরিটি মুসলমান হওয়ায় রাষ্ট্রটি মুসলমান রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হবে। তারপর চরম  বৈষম্য , বঞ্চনা , অবহেলা করা ও গণত্রান্তিক অধিকার না দেওয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। তবে তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মে বাধা দিচ্ছিল কিন্তু ইসলাম অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রে কোনো বৈষম্য ও অবহেলার সুযোগ নেই। যার ফলে ইসলাম নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক ও গনত্রান্তিক বৈষম্যহীন একটা আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তুলা যা মূলত ব্রিটিশ আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর মতো। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যও তাই ছিল এবং ব্রিটিশ গনত্রান্তিক কাঠামোয় শুরুও হযে ছিলো। অর্থাৎ মুসলমানরা তাঁদের ধর্ম স্বাধীনভাবে চর্চা করবে এবং আধুনিক শাসন কাঠামো গড়ে তুলবে ব্রিটিশদের মতো করে ইসলামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।অন্নান্য ধর্মের মানুষ ও তাঁদের ধর্মীয় স্বাধীনতাভোগ করবে।  ইসলামের ছোট খাটো অসংগতি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে এবং ব্যাবস্থাপনায় সীমিতভাবে থাকবে। রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম বেশি চর্চায় উৎসাহিত করাই এই আধুনিক রাষ্ট্রের মূলনীতি। যেমন মদের সীমিত লাইসেন্স ও রাষ্ট্রে থাকবে।গানবাজনা ইত্যাদি থাকবে।  তবে আলেমরা   মুসলমানের মদ খাওয়া  হারাম তা প্রচার করতে পারবে। মানুষের স্বাধীনতা থাকবে তা মেনে চলার বা না মানার। কেউ বাধা সৃষ্টি করবে না এটাই গনত্রান্ত্যিক রাষ্ট্রের রূপরেখা। 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে এই নয় যে ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া আইন চালু করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে হলো বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্টের বেশি মানুষ প্রায় ৯০% ইসলাম ধর্মের অনুসারী , তারা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম ধর্ম চর্চা করবে আর রাষ্ট্র তা বাস্তবায়ন করবে, কোনো ধরণের বাধা সৃষ্টি করবে না । অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকগন ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা ভোগ করবে। আবার ইসলাম ধর্মের মূলনীতি হলো অন্য কোনো ধর্মের চর্চায় ও শত্রুর ধর্ম চর্চায় বাধা দিবে না বরং নিরাপত্তা দিবে। যেমন সৌদি আরবেও ইহুদি খ্রিস্টানদের তার ধর্ম চর্চায় পালনে বাধা দেয়া যাবে না , ইসলামের এমনটাই নির্দেশ । অর্থাৎ বাংলাদেশ একটা মুসলিম বা ইসলামী আধুনিক গনত্রান্তিক রাষ্ট্র এটাই বাংলাদেশের পরিচয় আর এর জন্য শুধু রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয় , এটা সকলকেই বুঝতে হবে। 

যেহেতু বহুঁদলীয় ব্রিটিশ সরকার কাঠামোর লক্ষ্যে গনত্রান্তিক রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। আর মুক্তিযুদ্ধের একটা মূলনীতি ছিল সকল ধর্মের মানুষ এই রাষ্ট্রে সমান অধিকার পাবে এবং তাঁদের ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা ভোগ করবে। যেহেতু বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান তাই মুসলমান রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচিতির জন্য শুধু রাষ্ট্রে ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করা হয়েছে , আর কিছু নয়। যেহেতু আধুনিক গনত্রান্তিক রাজনৈতিক নিয়মে রাজনৈতিক দল ও দেশ ও সরকার ব্যাবস্থা পরিচালনা করতে হয়, তাই এখানে অনেক নিয়ম ও প্রথা ইসলামের আকিদা, বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ ইসলামী বিধান তাঁর স্বাধীনতা মোতাবেক চর্চা করবে। 

যেমন নেতার কবরে ফুল দিয়ে জিয়ারতের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো এবং তার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। এখানে সকল ধর্মের নারী পুরুষ ফুল দিয়ে মুসলমান হলে নেতার আত্মার শান্তির জন্য দুয়া পাঠ করবে আর অন্যরা সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মার শান্তি কামনা করবে। এটা সাধারণ কোনো মৃত ব্যাক্তির  কবর জিয়ারতের নিয়ম শিখানো নয় যদি তা হতো তাহলে তা বিদাত বা ইসলামের লঙ্গন হতো। ইসলামে মৃত ব্যাক্তির কবর যেভাবে জিয়ারত করতে বলা হয় রাজনীতি দল ও নেতারা তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করবেন এবং ব্যাক্তিগত জীবনে তা পালনের চেষ্টা করবেন। ইসলামের এই বিধান প্রচারে বাধা দিবেন না এবং নিজেদের এই রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়মকে ইসলামী বিধান বলে যদি প্রচার না করে শুধু একটা রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়ম তা শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে বলে প্রচার এবং স্বীকার করেন। এক্ষেত্রে এটা ইসলামে গুনা বা হারাম বা ইসলামের লঙ্গন হবে না বলেই আমি মতামত দিবো। কারণ এটা রাজনৈতিক দলকে তাঁর নেতাকর্মী তৈরিতে ও উজ্জীবিত করতে এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে করতে হয়। আর এই রাজনৈতিক দলসমূহ ও রাজনীতির জন্য রাষ্ট্রে শান্তি ও ইসলাম ধর্মের মানুষ ইসলামী জীবন যাপন করার স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই শুধু রাজনীতির প্রয়োজনে ইসলামের এই বিধানকে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় এইভাবে ফুল দিয়ে চর্চা করলে তা ইসলাম সম্মত হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো ফুলের মাধ্যমে কবর জিয়াতের নিয়ম ব্যাক্তিগত জীবনে শিখাচ্ছে না। 



রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়মকে ইসলামী বিধান বলে যদি প্রচার না করে শুধু একটা রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়ম তা শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে বলে প্রচার এবং স্বীকার করেন। এক্ষেত্রে এটা ইসলামে গুনা বা হারাম বা ইসলামের লঙ্গন হবে না বলেই আমি মতামত দিবো। কারণ এটা রাজনৈতিক দলকে তাঁর নেতাকর্মী তৈরিতে ও উজ্জীবিত করতে এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে করতে হয়। আর এই রাজনৈতিক দলসমূহ ও রাজনীতির জন্য রাষ্ট্রে শান্তি ও ইসলাম ধর্মের মানুষ ইসলামী জীবন যাপন করার স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই শুধু রাজনীতির প্রয়োজনে ইসলামের এই বিধানকে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় এইভাবে ফুল দিয়ে চর্চা করলে তা ইসলাম সম্মত হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো ফুলের মাধ্যমে কবর জিয়াতের নিয়ম ব্যাক্তিগত জীবনে শিখাচ্ছে না। 

২. ভাস্কর্য, মূর্তি , প্রতিকৃতি এবং ইসলাম ? 
মানুষের , প্রাণীর ,নেতার ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি ইসলামে বানানো নিষেধ  কারণ আগে মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে তাঁদের নেতার মূর্তির বা প্রতিকৃতিটির শ্রদ্ধা করতে করতে একসময় তাদেরকে দেবতা মনে করে পূজা করতে শুরু করেছিল। ইসলাম ধর্মে এক আল্লাহ ছাড়া সব মূর্তির পূজা করা নিষেধ। কিন্তু বর্তমান যুগে বিভিন্ন নেতার স্ট্যাচু বা মূর্তি বানানো হয় নেতাকে স্মরণীয় করে রাখতে বা পুস্পস্তব দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। আবার বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি বানানো হয় দৃষ্টিনন্দের জন্য। স্ট্যাচু বা মূর্তির বা প্রতিকৃতির  মাধ্যমে কোনো স্মরণীয় জাতীয়  নেতা বা বীর বা কোনো জাতীয় প্রাণী যেমন বাঘ দৃষ্টিনন্দন কোনো স্থাপনার মাধ্যমে তৈরী করা হয় আর এটাই ভাস্কর্য এবং তা যদি শুধু শিশুদের , মানুষকে নেতার ভালো কর্ম স্মরণ বা নেতাকে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে বা বাঘ জাতীয় পশু তা পরিচিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় এবং তা সীমিতভাবে তৈরী করা হয় এবং তা শুধু রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলার জন্য হয় তা রাজনীতি উদ্দেশ্যে হয়, ধর্মীয় নয়  এবং রাষ্ট্র থেকে স্বীকার ও প্রচার করা হয় যে মূর্তি পূজা করা হারাম , আর এই ভাস্কর্যকে ইসলাম অনুমোদন দিবে বলেই আমি মতামত দিবো। আল্লাহ সবসময় মানুষের মনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যকে বেশী গুরুত্ব দিবেন তার বাহ্যিক কর্মের থেকে। উদ্দেশ্য যেহেতু মূর্তি পূজা নয় সেক্ষেত্রে ধর্মের লঙ্গন হবে না। তবে অপ্রয়োজনে যদি সকল প্রাণীর এবং নেতার হাজার হাজার ভাস্কর্য তৈরী হয় তখন উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়ে এমন ধরণ করবে যে তোমরা নেতাকে স্মরণ করো এবং ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা করো তখন একধরণের পূজা করা হয়ে যাবে ভাস্কর্য বা মূর্তি, তখন তা আবার হারাম হবে। তবে ভাস্কর্য বিভিন্নভাবে বানানো যায় যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে স্হাপত্য শিল্প ফুটিয়ে তুলাকেই ভাস্কর্য বলা যায় যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন, প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়ার মাজার, জাতীয় তিন নেতার মাজার স্থাপনা একটা দৃষ্টিন্দন ভাস্কর্য। ভাষা শহীদ স্থাপনা , শহীদ মিনার এসব ও ভাস্কর্য। যদিও এসব ভাস্কর্য নিয়ে ইসলামে বিতর্ক নেই, শুধু মানুষ আর প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

৩. পেইন্টিং বিষয়ে একই যেমন ইসলামে মানুষের বা প্রাণীর পেইন্টিং কড়াকড়ি আছে তবে পেইন্টিং ইসলামে হারাম নয়।   অকারণে পেইন্টিং তৈরী করে মানুষকে মূর্তি পূজার বা দেব দেবতার দিকে দাবীত করা হলে ইসলাম এটাকে হারাম বলবে। তবে অশ্লিল নয় এমন পেইন্টিং ঘরবাড়ি সাজানোর জন্য বা প্রদর্শনীর জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরী করলে তা ইসলাম অনুমোদন দিবে বলে মনে করি। তবে নামাজের ঘরে অবশ্যৈই মানুষের বা প্রাণীর পেইন্টিং রাখা যাবে না, এটা হারাম।  

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। তাই আল্লাহ ইসলামকে জীবনে সহজ করেছেন। এমনকি মহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন আমি যা করি তা তোমাদের করার দরকার  নেই তোমরা তা পারবে না, তোমরা শুধু ওইটুকু করো যা আমি করতে বলছি। তিনি আরো বলেন ইসলাম নিয়ে বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জুলম করো না। এমনকি কুরআনে আল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানরা যদি এক আল্লাহ ইবাদত করে এবং বিশ্বাস করে এবং ঈসাকে (আঃ ) কে তাঁদের নবী মেনে নেয় , যেভাবে তিনি পথ দেখিয়েছিলেন তা মেনে চলে, ইসলাম গ্রহণ নাও করে , তাঁদের জন্য আখিরাতে আল্লাহ চরম শান্তির বা বেহেস্তের ব্যাবস্থা রেখেছেন। তাই ইসলাম ধর্ম যতদিন যাবে তত নতুন নতুন বিষয়ের মুখমোখী হবে, তাঁর জন্য বাস্তবসম্মত আধুনিক সমাধান দিতে হবে কারণ ইসলাম বর্তমান দুনিয়ায় আল্লাহর একমাত্র শ্রেষ্ঠ আধুনিক ধর্ম , এমনভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে বা চর্চা করতে হবে যাতে কেউ বলতে না পারে ইসলামের বিধিবিধান আধুনিক জীবনযাপন, শিক্ষায়, শিল্প , সাহিত্য  ও জ্ঞান  বিজ্ঞান চর্চায় বাধা দেয়। এই যে জাতিসঘের হিউমান রাইটস মানবাধিকার তা বহু আগেই ইসলামে আছে , নবীজি যুদ্ধ বন্দিদের সাথে ভালো আচরণ করতেন , যা এখন আধুনিক যুদ্ধ মানবাধিকার বা আধুনিক নিয়ম।