Wednesday, 14 April 2021

জুমার নামাজ কত রাকাত, পড়ার নিয়ম, আমল ও ফজিলত ?

THE RIGHT THINKING 24

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে, মুছুল্লিদের ইমামের সাথে একসাথে দলবদ্ধভাবে হাত তুলে দোয়া করা ফরজ না। কেউ এটাকে ফরজ মনে করলে বা না করলে নামাজ হবে না , গুনা হবে মনে করলে বিদআত হবে। তবে মুসুল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে নিজে নিজে বিভিন্ন কিছু আল্লাহ কাছে চেয়ে দোয়া করতে পারবে , নানা দুয়া জিকির ইত্যাদি করতে পারবে আর এটাই নবীজি করতেন, তিনি দলবদ্ধভাবে দুয়া করতেন না।
অন্যদিকে হাদীস থেকে পাওয়া যায় খরা থেকে রক্ষার জন্য নবীজি বিশেষ নামাজ পড়ে সবাইকে নিয়ে দলবদ্ধভাবে হাত তুলে মোনাজাত করতেন বৃষ্টিপাতের জন্য। অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর দলবদ্ধ মোনাজাত করতেন না কিন্তু সকলের একই প্রত্যাশা বা সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় যেমন জাতির করোনা ভাইরাস থেকে সকল মানুষকে মুক্তির জন্য , সন্ত্রাসবাদ থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য বা মসজিদে উপস্থিত সকল ব্যাক্তিকে কোনো বিপদ থেকে রক্ষার জন্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে ও জুম্মার নামাজের পর দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করা যাবে। এক্ষেত্রে বিদাত হবে হবে না। তবে দলবদ্ধভাবে মুনাজাত না করলে পাপ হবে না, নামাজ হবে।
তবে কেউ যদি মুনাজাতকে নামাজের শেষে বাধ্যতামূলক বলে প্রচার করে , না করলে নামাজ হবে না, গুনা হবে ইত্যাদি - এক্ষেত্রে ইটা হবে বিদআত এবং গুনার কাজ। এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। উভয় পক্ষের আলেমদের বিতর্ক পর্যবেক্ষণ থেকে এটাই আমার মতামত /














তারাবী ২০ নাকি ৮ রাকাত?
এটা কোনো ফরজ নামাজ না। সুতরাং না পড়লে পাপ হবে না তবে পড়লে সওয়াব পাওয়া যাবে। হাদিসে পাওয়া যায় নবীজি মাত্র ৩ দিন জামাতে তারাবী নামাজ পড়েছেন। মা আয়েশা বলেন নবীজী রোযায় ও অন্য সময় এই তারাবী বা তাহাজ্জত ৮ রাকাত পড়তেন আর তিন রাকাত ভিতর মোট ১১ রাকাত পড়তেন। তিনি আরো বলেন ৪ রাকাত করে করে পড়তেন এবং অনেক সময় নিয়ে পড়তেন যা আমাদের দেশের ২০ রাকাত তারাবী হয়তো নবীজির ৪ রাকাত এর সমান বা আরো কম। এই নামাজ রোজার পড়লে বলা হয় তারাবী আর অন্য সময় পড়লে বলা হয় তাহাজ্জত, তাই এটা ২ রাকাত বা ৪ রাকাত করে করে যত সম্ভব পড়া যাবে ২০ রাকাত বা ১০০ রাকাত বা আরো বেশি পড়া যাবে। সাহাবীরাও অনেক সময় ৮ রাকাত ও পড়তেন এবং বেশিও পড়তেন। নবীজি একা একা পড়তেন বাসায়। তবে জামায়াতে চাইলেও পড়া যাবে।
উভয় পক্ষের আলেমদের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে আমার মতামত হল যে কয় রাকাত সম্ভব পড়া যাবে তবে স্পষ্ট উচ্চারণ ও সঠিক ভাবে সূরা তিলায়াত করতে হবে। আমাদের দেশে বেশি রাকাত অতি দ্রুত তিলওয়াত করতে যেযে ভুল উচ্চারণ করেন যা গুনার কাছ।

নবীজি যেহেতু তারাবী নামাজে ইমামতি করেননি যে নামাজটি ফরজ হয়ে যেতে পারে তখন উম্মতের জন্য কঠিন হয়ে যাবে, বর্তমানেও সারা দিন রোজা রেখে মানুষজন বেশি নামাজে উৎসাহিত হবে না পরদিন আবার কাজ আছে আবার মসজিদে ৮ রাকাত পড়ে বের হয়ে আসতে অনেকেই বিব্রত বোধ করে তখন মসজিদেই যাবে না যেহেতু রোজা নিয়মিত ইবাদাতের অভ্যাস আছে এমন শক্ত দৃঢ় মুসলমানরা ছাড়াও প্রায় ৯৯-১০০% মুসলমানই রোজা রাখে এবং তারাবী পড়ার চেষ্টা করে তাই যত কম তাদের সকলেই আনা যায় এবং সহজ করা যায় সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু ৮ হলেই চলে তাই ৮ জামাতের সাথে পড়া উত্তম, পরে একা একা যে যত পারে পড়লো, এমনকি এই জন্য আলাদা তাহাজ্জুদ আলাদা তারাবির নির্দেশ দেননি যে একটা পরেলি দু একসঙ্গে হয়ে যাবে অন্যদিকে যদি ইমাম হাফেজ না হন তখন তিনি দেখে দেখে তিলাওয়াত করতে পারবেন কারণ কুরআন পুরা খতম করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা তারাবি নামাজ নেই, সূরার কিছু অংশ প্রয়োজনে বাংলা অনুবাদ যাতে মুসল্লিরা বুঝতে পারে যেহেতু হযরত ওমর(রা:) সকল ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করতেন, তাই তারাবী ২০ রাকাতই পড়েছেন হয়তো নবীজি এটাই জামাতে সর্বোচ্চ পড়েছিলেন

পরিপূর্ণ সুন্নি মুসলিম নামাজে এমনকি ফরজ নামাজের ক্ষেত্রেও ইমাম সূরা ফাতেহা ও অন্য কি কি সূরা বা কতটুকু নামাজে তিলওয়াত করবেন তা নামাজ শুরুর পূর্বেই মুখস্থ বা দেখে স্ব স্ব জাতির ভাষায় অনুবাদটি বলে নামাজটি শুরু করা উচিত যাতে মানুষ বুঝতে পারে কারণ নবীজির সময় মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ থেকেই কুরআন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যেতো ওয়াজ মাহফিলের পাশাপাশি যেহেতু তিলওয়াত বুঝে পড়তে হবে এবং আরবি ভাষায় উত্তম যেহেতু অনুবাদ ১০০% নির্ভুল করা যায় না কিন্তু সবাইতো আরবি বুঝে না কিন্তু কুরআনের নির্দেশনা বুঝা জরুটি আরবি ভাষা থেকে এমনকি নবীজি তখন কিছু উপজাতিকেও তাদের নিজস্ব ভাষায় কুরআন বুঝিয়ে দাওয়াত দিতেন

বিশ্বের আলেমরা যদি শুধু আরবি ভাষায় হেফজ করে অর্থ না বুঝে তাহলে কিয়ামতের পূর্বে ভুমিকম্পসহ নানা দুর্যোগে কিতাব বই সমূহ পুড়ে গেলে, হারিয়ে গেলে কিভাবে তারা স্ব স্ব জাতিকে নেতৃত্ব দিবে, দ্বীন শিক্ষা দিবে, বুঝাবে, নিজেই যদি না বুঝে? তাই হাফেজ হওয়ার আগে কুরআন-হাদিস বুঝে পড়তে হবে এবং পরে স্ব স্ব ভাষায় মুখস্থ করতে হবে তারপর আরবি ভাষায় হেফ্জ করবে এবং কিছু হাফেজ আরবি ও ইংরেজি অনুবাদ মুখস্থ থাকবে, কারণ ভবিষৎবাণীতে আছে কিয়ামতের পূর্বে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জ্ঞানী ব্যাক্তি, আলেম থাকবে না কিন্তু ডিগ্রিধারী আলেম প্রচুর থাকবে অর্থাৎ মনে হয় আলেমরা শুধু আরবি ভাষায় মুখস্থ করবে আর পরিচয় অর্জন করবে, বুঝানোর বা প্রয়োগের জ্ঞান থাকবে না। আলেম উলামাগণ  সামাজিক শিক্ষকতা বাবদ সামাজিক দাতব্য ফান্ড জাকাত থেকে একটি অর্থ গ্রহণ করতে পারেন যেহেতু সমাজের পক্ষে এবাদত শিখে তা সমাজের ব্যস্ত পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যাতে তারা পড়াশোনায় গবেষণায় বেশি সময় দিতে পারেন আর সমাজকে সঠিকটা ভালোভাবে বুঝানো পারেন যা তাদের জন্য হালাল ও জায়েজ যেহেতু রাষ্ট্র জনগণ এর  ট্যাক্সের একটি ফান্ড থেকে দারিদ্রতা বিমোচনের চেষ্টা করা হচ্ছে , নবীর একান্ত সাক্ষাতে কিছু হাদিয়া নিয়ে আস। (সূরা বাকারা-, সূরা বাকারা-১৮৪,১৮৫)(বুখারি, হাদিস : ২৫৮৫)(বুখারি, হাদিস : ২৫৬৮)(তিরমিজি, হাদিস : ২৭৯০)(বুখারি, হাদিস : ২৫৭৬)(আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৯৭)


সূরা ফাতিহা ইমামের পিছনে কি পড়তে হবে?
জামায়াতে নামাজের সময় ইমাম যখন জোরে শব্দ করে আরবিতে সূরা ফাতেহা পাঠ করেন তখন মুসুল্লিরা শুধু শুনবে ও মনে মেনে অনুবাদ স্মরণ করবে আর যখন জোহর আসর নামাজে ইমাম মনে মনে পাঠ করেন তখন মুসুল্লিরা মনে মনে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে বা এর সাথে অন্য সূরার দু এক আয়াত পড়বে আর সূরা না মুখস্থ থাকলে নীরবে শুধু অনুসরণ করে যাবে ।

উভয় পক্ষের আলেমদের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে আমার মতামত ।

জুমার নামাজ কত রাকাত, পড়ার নিয়ম, আমল ও ফজিলত: জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। জুমার'র অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে "জুমার নামাজ" বলা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে "জুমার নামাজ" বলা হয়। 'হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ সম্পন্ন হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সুরা জুমুআ : আয়াত ৯-১০) জুমার রাকাত সংখ্যা ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জুমার দিন ইমামের ইমামতিতে জামায়াতবদ্ধ হয়ে ২ রাকাত নামাজ পড়া ফরজ। এ নিয়ে কারো কোনো মতপার্থক্য নেই। তবে ফরজের আগে ৪ রাকাত কাবলাল জুমা ও ফরজের পরে ৪ রাকাত বাদাল জুমা সুন্নাতও রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মুসল্লি সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত জুমার নামাজ আদায় করে থাকে। অনেকে আবার জুমার আগে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে। সুন্নাত নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও জুমার ফরজ নামাজ ২ রাকাত এ নিয়ে কারো কোনো মতপার্থক্য নেই। জুমার ফরজ নামাজের আগে ২/৪ রাকাত দুখুলিল-তাহিয়্যাতুল মসজিদ/কাবলাল জুমা এবং পরে ৪ রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নাত নামাজ) আদায় করতে হয়। আর জোহরের নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নাতে মোয়াক্কাদা পড়তে হয়। অথাৎ আলেম উলামাদের ব্যাখ্যানুসারে এটাই স্পষ্ট জুমার পূর্বে নবীজি অন্তত ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ/কাবলাল জুমা নামাজ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন যা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কারণ এক সাহাবী খুৎবার সময় মসজিদে ঢুকে বসে গেলে নবীজি তাঁকে ২ রাকাত পড়ে বসতে নির্দেশ দেন আর সময় বেশি পেলে ২ রাকাতের পর ২ রাকাত বা ৪ রাকাত করে ফরজের পূর্ব পর্যন্ত ইচ্ছামত যত বেশি রাকাত পড়তে পারে বা ওয়াজ শোনা, কুরআন তেলাওয়াত ও দরুদ পড়তে পারবে আর জুমআর ফরজ ২ রাকাতের পর ২ বা ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তে পারে যা সুন্নতে মুয়াক্কাদা, জুমার পরের সুন্নত নামাজটি নবীজি মসজিদে ২ রাকাত পড়তেন আর বাড়িতে ২ রাকাত পড়তেন বা কখনো মসজিদেই একত্রে ৪রাকাতও পড়েছেন। অথাৎ স্বাভাবিক সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে আলেমগণ যোহরের নামাজের ১২ রাকাতের মতই একত্রে জুমা নামাজও ১২ রাকাত প্রচারে রেখেছেন যা নাম ধরে ধরে ভেঙে ভেঙে মানুষকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন মনে করেনি যেহেতু সাধারণ মানুষ অতীতে শুধু আলিমুলামদের অনুসরণ করত, নিজে পড়ে বুঝে জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টা কম ছিল যা বর্তমান যুগে আবার সাধারণ মানুষেরও জ্ঞান ও আগ্রহ বেড়েছে কুরআন সুন্নাহ নিজেরাও পড়ে, বুঝে ও জ্ঞান অর্জন করে । তাই বর্তমানে তা আলাদা আলাদাভাবে কোন নামাজ কত রাকাত ও কিসের নামাজ একত্রে কত বা আলাদা, ইত্যাদি কিতাবে লেখার পাশাপাশি প্রচারেও থাকতে হবে, না হয় দ্বীনে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে। অথাৎ সকল হাদীসগুলো একত্রে এটাই শিক্ষা দিচ্ছে যোহরের নামাজের ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা পড়েই ফরজে দাঁড়ালেও নামাজ হবে কিন্তু জুমার নামাজে তাহিয়্যাতুল মসজিদ ২ রাকাত নামাজটি না পড়ে ফরজ নামাজে দাঁড়ালে জুমা নামাজ হবে না এবং কেউ দেরিতে মসজিদে ঢুকে সরাসরি ২রাকাত ফরজ পড়লেও তাঁকে নামাজ শেষে পরবর্তীতে অন্তত ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ সুন্নাহ আদায় করতে হবে যা জুমার দিনে সুন্নতে মুয়াক্কাদা/কাবলাল জুমা(জুমার পূর্বের সুন্নাহ) অথাৎ ২, ২, ২ একত্রে ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও ফরজ ২ রাকাত মোট ৬ রাকাত নামাজ পড়তেই হবে যা কৌশলী প্রশিক্ষণে একত্রে ৪ রাকাত কাবলাল জুমা(জুমার পূর্বের ২ ও পরের ২ একত্রে ৪ রাকাত সুন্নাহ নামাজ) ও ২ রাকাত ফরজ জুমা নামাজ পড়ে সাধারণত মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় যা ভারতীয় উপমহাদেশের সূফীবাদী গুরুবাদী প্রশিক্ষণ যেহেতু সাধারণ মানুষের সুন্নত নামাজ আদায় আগ্রহ কম থাকে

জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করায় অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিশেষ নুর (আলো) দ্বারা আলোকিত করে দেবেন। (বায়হাকি : ৬২০৯) জুমার দিন অন্য দিনের তুলনায় বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়ার কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিন আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে। আর এই দিনই (সিঙ্গায়) ফুৎকার হবে এবং এই দিনই সবাই অজ্ঞান হবে। কাজেই তোমরা এই দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। (আবু দাউদ : ১০৮৯) যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’ দরুদটি ৮০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ৮০ বছর ইবাদত করার সওয়াব লিখে দেবেন। (হাফেজ সাখাবি আল-কওলুল বাদি : ২৮৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, যখন জুমার দিন কোনো ব্যক্তি গোসল করে এবং সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মাখে বা ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয়, আর দুজনের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না করে, এরপর সে তার জন্য ধার্যকৃত নামাজ আদায় করে এবং ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত (সগিরা গোনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি : ৮৮৩) জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।