Monday, 28 July 2025

মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রথম প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সাফা পর্বতের পাদদেশে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়িতে যেখানে স্বয়ং মুহাম্মাদ ছিলেন শিক্ষক ও চ্যান্সেলর ?

THE RIGHT THINKING 24

মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রথম প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সাফা পর্বতের পাদদেশে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়িতে যেখানে স্বয়ং মুহাম্মাদ ছিলেন শিক্ষক ও চ্যান্সেলর ?
 

মাদ্রাসা শব্দটি আরবি শব্দ "দারস" থেকে এসেছে, যার অর্থ "পড়া" বা "শিক্ষাদান" Education। মাদ্রাসা হলো মুসলিম বিশ্বে শিক্ষাদানের একটি স্থান বা প্রতিষ্ঠান, যা ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় ধরনের শিক্ষাই প্রদান করে থাকে। মাদ্রাসার ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং এর যাত্রা শুরু হয় ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই। 

মাদ্রাসার প্রাথমিক ইতিহাস:
ইসলামের প্রথম মাদ্রাসা: মক্কার সাফা পর্বতের পাদদেশে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়িতে ইসলামের প্রথম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে স্বয়ং হযরত মুহাম্মদ (সা.) শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁর কয়েকজন অনুসারী ছিলেন শিক্ষার্থী। 

মদিনায় মাদ্রাসা: হিজরতের পর মদিনায় মসজিদে নববীর পূর্ব পাশে "আসহাবে সুফফা" নামে আরেকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: একাদশ শতাব্দীতে সেলজুকদের অধীনে উজির নিজাম আল-মুলক ইরান, মেসোপটেমিয়া এবং খোরাসানে সরকারী মাদ্রাসার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, যা মাদ্রাসার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 

বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার রাজধানী গৌড়ে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। সুলতান গিয়াসুদ্দীন একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ১২১২ খ্রিষ্টাব্দে। পরবর্তীকালে তার বংশধর সুলতান দ্বিতীয় গিয়াসুদ্দীনও একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। মাদ্রাসা দুটির নাম যথাক্রমে লাখনুতী ও গৌড় মাদ্রাসা। হোসেন শাহ ও তার পুত্র নুসরত শাহ গৌড়ে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।

আলিয়া মাদ্রাসা: ১৭৮০ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, যা ছিল উপমহাদেশে (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) আলিয়া ধারার মাদ্রাসার একটি মডেল। 

মাদ্রাসার প্রকারভেদ:
আলিয়া মাদ্রাসা: কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার আদলে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলো আলিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত। এই ধারার মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচীর সমন্বয় করা হয়েছে। মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর মক্তব, নূরানি বা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে অভিহিত। ফোরকানিয়া শব্দের মূল ফুরকান যার অর্থ বিশিষ্ট। মিথ্যা থেকে সত্যকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করে বলে পবিত্র কুরআন-এর আরেক নাম আল ফুরকান।

কওমি মাদ্রাসা: কওমি মাদ্রাসাগুলো মূলত ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রিক এবং এখানে ধর্মীয় শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইংরেজ শাসনামলে এদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা একটি নতুন মোড় নেয়। মাদ্রাসাগুলির নামে মুগল সরকারের বরাদ্দকৃত লাখেরাজ জমি বাজেয়াপ্ত করে। ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অনেক মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলার গভর্নর লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদ্রাসাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারের জন্য কিছুসংখ্যক মুসলিম আইন অফিসার তৈরি করা। তবে সরকারের সমর্থন ও অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হবার কারণে ঊনবিংশ শতাব্দীতে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকাশ গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

কলকাতা মাদ্রাসা বাংলায় মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা প্রবর্তন করে। এই মাদ্রাসার প্রথম প্রধান মৌলভি বাহরুল উলুম মোল্লা মজদুদ্দীন দরসে নিজামির পাঠক্রম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেই আদলে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেন। হেস্টিংস কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে তিনি এই পাঠক্রমে ইসলামী আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেন।

বাংলার অধিকাংশ মাদ্রাসা দরসে নিজামির আদলে শিক্ষাদান পরিচালনা করে। এই ব্যবস্থা ১৯৭০ দশক পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দরসে নিজামি পাঠক্রম অনুযায়ী একজন ছাত্রকে ১৭/১৮ বছর বয়সেই আরবি ও ফার্সি ভাষায় লিখিত নির্বাচিত ৯৯টি গ্রন্থের অন্তত একটি পড়ার ও অনুধাবনের যোগ্যতা অর্জন করতে হতো। ধর্মীয় পাঠ্যক্রম ছাড়া এই পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল ইউনানি চিকিৎসা বিদ্যা, কুটির শিল্প ও কারিগরি প্রশিক্ষণ। দরসে নিজামির মোট শিক্ষাকাল ৯ বছর।

মাদ্রাসার গুরুত্ব:
মাদ্রাসাগুলো মুসলিম সমাজে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ও মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়া হয়। 

মাদ্রাসার আধুনিকায়ন:
বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।  ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত মাদ্রাসার প্রকরণগুলো হলঃ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, দাখিল মাদ্রাসা, আলিম মাদ্রাসা, ফাজিল মাদ্রাসা, কামিল মাদ্রাসা, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসাদীনিয়া মাদ্রাসা। 

বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রণীত শর্ত পূরণ করে এমন সকল ধরনের অনুমোদিত মাদ্রাসা সরকারি অনুদান পায়। সরকারি অনুদানপুষ্ট অধিকাংশ মাদ্রাসাতেই এখন বাংলা, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান শিক্ষা প্রচলিত আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে অনুমোদিত ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত স্নাতকরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি হতে পারে। ২০০২ সালে বাংলাদেশে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ছিল ১৪,৯৮৭টি, দাখিল ৬,৪০২টি, আলিম ১,৩৭৬টি, ফাজিল ১,০৫০টি এবং কামিল ১৭২টি। এছাড়া কওমী মাদ্রাসা ছিল প্রায় ৩,০০০টি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত মাদ্রাসা শিক্ষাকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ৩ শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়: প্রাচীন কাঠামোভিত্তিক দরসে নিজামি, পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত পাঠক্রম-ভিত্তিক দারসে নিজামি, এবং আলিয়া নেসাব। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর মাদ্রাসাসমূহকে কওমী বা বেসরকারি মাদ্রাসা বলা হয় ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষা বোর্ড এসবের কার্যক্রম সমম্বয় করে। ১৯৯৮ পর্যন্ত সারাদেশে ২,০৪৩টি মাদ্রাসা কওমী মাদ্রাসা এই বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে। 

ভারতের দেওবন্দে ১২৮০ হিজরি সালে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম মাদ্রাসার আদলে স্থাপিত মাদ্রাসাসমূহে দারসে নিজামি প্রাচীন কাঠামো এখনও অটুট রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাঁদা, সদকা, যাকাত ইত্যাদি দ্বারা এসব মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। নুরানী বা ফোরকানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অধিকাংশই এসব মাদ্রাসার ছাত্র।

মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক শাসকবর্গ ১৮৯০-এর দশকে নতুন ধরনের মাদ্রাসা চালু করে। নিউ স্কীম মাদ্রাসা নামে অভিহিত এসব মাদ্রাসার পাঠক্রমে সকল ইসলামি বিষয়ের সঙ্গে ইংরেজি ভাষাকেও বাধ্যতামূলক করা হয়। জুনিয়র ও সিনিয়র নামে দুধরনের নিউ স্কীম মাদ্রাসা প্রবর্তিত হয়। জুনিয়র মাদ্রাসায় পড়ানো হত পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আর সিনিয়র মাদ্রাসা ছিল মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য। সরকারি চাকুরি পেতে আগ্রহী মুসলমান শিক্ষার্থীরা নিউ স্কীম মাদ্রাসায় পড়তে বিশেষ আগ্রহী ছিল।

বর্তমানে আরবদেশ থেকে শুরু করে ইসলামী স্বর্ণযুগের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তিসহ বহু বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।

[Online collected]

গির্জার ভূমিকা: 
অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস গির্জা থেকে সরাসরি আসেনি, তবে গির্জা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্বে ইউরোপে, শিক্ষা মূলত গির্জার কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সময়ে, অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ধীরে ধীরে গির্জার বাইরে শিক্ষার একটি কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হতে শুরু করে। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গির্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল, কারণ সেই সময়ে গির্জা ছিল শিক্ষার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং শিক্ষকের প্রধান উৎস। 

অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দুটিই মধ্যযুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে গির্জার সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল। অনেক পণ্ডিত যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকতা করতেন, তারা ছিলেন গির্জার সদস্য বা পুরোহিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষণ পদ্ধতিও ধর্মীয় শিক্ষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। ধীরে ধীরে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার একটি কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। 

কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সম্ভবত ১০৯৬ সালের দিকে, যখন শিক্ষকরা শহরে আসা শুরু করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ১২০৯ সালের দিকে, যখন অক্সফোর্ডের কিছু পণ্ডিত দাঙ্গার কারণে কেমব্রিজে চলে যান। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে গির্জার প্রভাব থাকলেও, তারা সময়ের সাথে সাথে একটি স্বাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। 

সুতরাং, যদিও গির্জা অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ধর্মের বাইরে একটি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং উভয়ই ইংল্যান্ডের প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান কার্যক্রম ১০৯৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়, যা এটিকে ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় করে তোলে। অন্যদিকে, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ১২০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং এটিও একটি অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাস বেশ আকর্ষণীয় এবং এদের মধ্যে একটি দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে আসছে। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা:
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ জানা যায় না, তবে এর শিক্ষাদান কার্যক্রম ১০৯৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। 

এটি ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। 
অক্সফোর্ডের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে যখন দ্বিতীয় হেনরি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ছাত্রদের ভর্তি হতে নিষেধ করেন, যার ফলে অনেক ছাত্র ও শিক্ষক অক্সফোর্ডে চলে আসেন। 
শিক্ষার্থী এবং শহরের মধ্যে বিবাদের কারণে কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেমব্রিজে চলে যান এবং সেখানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা:
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ১২০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যখন কিছু অক্সফোর্ড শিক্ষক-শিক্ষার্থী অক্সফোর্ডের সাথে বিরোধের কারণে কেমব্রিজে চলে যান।

শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য একটি সুশৃঙ্খল স্থান প্রদানের জন্য, প্রথম কলেজ, পিটারহাউস, ১২৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অক্সফোর্ডের সাথে একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে উঠেছে। 

 এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দীর্ঘ ইতিহাস এবং বিখ্যাত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। উভয়ই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে গির্জার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৬৩৬ সালে, নতুন কমনওয়েলথে পাদ্রিদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত পিউরিটানরা "মরুভূমিতে গির্জা" (Church in the wilderness) নামক স্থানে মন্ত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করে। যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধর্মীয় সংস্থার সাথে যুক্ত ছিল না, এর প্রাথমিক পাঠ্যক্রম পিউরিটানিজমের নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। 

১৬৩৬ সালে, নিউ ইংল্যান্ডে প্রায় ১৭,০০০ পিউরিটান আসার পর, "মরুভূমিতে গির্জা" নামে পরিচিত নতুন কমনওয়েলথের জন্য পাদ্রিদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই কারণে হার্ভার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জন হার্ভার্ড নামক একজন পিউরিটান ধর্মযাজকের নামে এর নামকরণ করা হয়, যিনি এই কলেজের জন্য তার সম্পত্তি এবং গ্রন্থাগারের একটি অংশ দান করেছিলেন। 

হার্ভার্ড প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে গির্জার তত্ত্বাবধানে থাকলেও, ধীরে ধীরে এটি ধর্মীয় প্রভাব থেকে মুক্ত হতে শুরু করে। প্রথম দুই শতাব্দীতে, কলেজটি প্রথমে কেরানি এবং পরে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়, যা ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত চলে, জানিয়েছে ব্রিটানিকা। 

সুতরাং, হার্ভার্ডের প্রাথমিক ভিত্তি ছিল গির্জা এবং মন্ত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি একটি বৃহত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন মত ও পথের মানুষেরা শিক্ষা গ্রহণ করে। 

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য হতে হলে, সকল ছাত্র এবং বেশিরভাগ একাডেমিক কর্মীদের অবশ্যই একটি কলেজ বা হলের সদস্য হতে হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊনত্রিশটি কলেজ এবং চারটি স্থায়ী বেসরকারি হল (PPH) রয়েছে, প্রতিটি কলেজই তাদের সদস্যপদ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং কার্যক্রম রয়েছে।  সমস্ত কলেজ সমস্ত কোর্স অফার করে না, তবে তারা সাধারণত বিস্তৃত বিষয়গুলি কভার করে।

৩৯টি কলেজ হল:


‡ এই তিনটির কোনও রাজকীয় সনদ নেই, এবং এগুলি স্বাধীন কলেজের পরিবর্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ।

স্থায়ী বেসরকারি হলগুলি বিভিন্ন খ্রিস্টান সম্প্রদায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একটি কলেজ এবং একটি PPH-এর মধ্যে একটি পার্থক্য হল যে কলেজগুলি কলেজের ফেলোদের দ্বারা পরিচালিত হয় , তবে একটি PPH-এর পরিচালনা, অন্তত আংশিকভাবে, সংশ্লিষ্ট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে থাকে। চারটি PPH হল:

 ব্ল্যাকফ্রায়ার্স হল
 ক্যাম্পিয়ন হল
 রিজেন্টস পার্ক
 ওয়াইক্লিফ হল .

কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড কলেজগুলি কলেজিয়েট গথিক স্থাপত্যের জন্য স্থাপত্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে, যা উনিশ শতকের শেষের দিক থেকে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় , কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় , শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করে ।

"পুরাতন" এবং "নতুন" কলেজ
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে 31টি কলেজ রয়েছে,  যা 13 শতক থেকে 20 শতকের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। 1596 ( সিডনি সাসেক্স কলেজ ) এবং 1800 ( ডাউনিং কলেজ ) এর মধ্যে কোনও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি, যা প্রতিষ্ঠার তারিখ অনুসারে কলেজগুলিকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করার অনুমতি দেয়:

১২৮৪ থেকে ১৫৯৬ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ১৬টি "পুরাতন" কলেজ, এবং
১৮০০ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ১৫টি "নতুন" কলেজ।
প্রাচীনতম কলেজ হল পিটারহাউস , যা ১২৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল  এবং নতুন কলেজ হল রবিনসন , যা ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  হোমারটন , যা প্রথম আঠারো শতকে একটি ভিন্নমত পোষণকারী একাডেমি (এবং পরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ) হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ২০১০ সালে পূর্ণ কলেজের মর্যাদা লাভ করে।

"নতুন" কলেজগুলির মধ্যে ছয়টি (চার্চিল, ফিটজউইলিয়াম, গির্টন, লুসি ক্যাভেন্ডিশ, মারে এডওয়ার্ডস এবং সেন্ট এডমন্ডস) ক্যাসেল হিলে অবস্থিত এবং তাই কখনও কখনও এগুলিকে "পাহাড়ী কলেজ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। 



Friday, 25 July 2025

lawyer's duties to society ?

THE RIGHT THINKING 24

lawyer's duties to society

A lawyer's duties to society extend beyond representing clients and include upholding the legal system, promoting justice, and contributing to the public good. This involves acting with integrity, maintaining client confidentiality, and participating in efforts to improve the law and the legal profession. 

Key aspects of a lawyer's duty to society:
Upholding the legal system:
Lawyers are officers of the court and must act with honesty and integrity, ensuring the legal process is fair and just. 

Promoting access to justice:
Lawyers should work to ensure that all individuals have access to legal representation and a fair hearing, regardless of their financial or social status. 

Maintaining confidentiality:
Protecting client information is essential for fostering trust and ensuring open communication, which is vital for the administration of justice. 

Contributing to legal reform:
Lawyers should use their knowledge of the law to advocate for positive changes in the legal system and to promote a more just society. 

Avoiding conflicts of interest:
Lawyers must prioritize their client's interests while also upholding their duty to the court and the public good. 

Respecting the legal profession:
Lawyers should maintain the dignity and integrity of the legal profession through ethical conduct and professional development.
 
Being a public citizen:
Lawyers should use their skills and knowledge to contribute to the well-being of their communities and to promote the rule of law. 

In essence, lawyers play a crucial role in society by serving as guardians of the legal system, advocates for justice, and champions of the public good.