Wednesday, 14 April 2021

জুমার নামাজ কত রাকাত, পড়ার নিয়ম, আমল ও ফজিলত ?

THE RIGHT THINKING 24

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে, মুছুল্লিদের ইমামের সাথে একসাথে দলবদ্ধভাবে হাত তুলে দোয়া করা ফরজ না। কেউ এটাকে ফরজ মনে করলে বা না করলে নামাজ হবে না , গুনা হবে মনে করলে বিদআত হবে। তবে মুসুল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে নিজে নিজে বিভিন্ন কিছু আল্লাহ কাছে চেয়ে দোয়া করতে পারবে , নানা দুয়া জিকির ইত্যাদি করতে পারবে আর এটাই নবীজি করতেন, তিনি দলবদ্ধভাবে দুয়া করতেন না।
অন্যদিকে হাদীস থেকে পাওয়া যায় খরা থেকে রক্ষার জন্য নবীজি বিশেষ নামাজ পড়ে সবাইকে নিয়ে দলবদ্ধভাবে হাত তুলে মোনাজাত করতেন বৃষ্টিপাতের জন্য। অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর দলবদ্ধ মোনাজাত করতেন না কিন্তু সকলের একই প্রত্যাশা বা সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় যেমন জাতির করোনা ভাইরাস থেকে সকল মানুষকে মুক্তির জন্য , সন্ত্রাসবাদ থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য বা মসজিদে উপস্থিত সকল ব্যাক্তিকে কোনো বিপদ থেকে রক্ষার জন্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে ও জুম্মার নামাজের পর দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করা যাবে। এক্ষেত্রে বিদাত হবে হবে না। তবে দলবদ্ধভাবে মুনাজাত না করলে পাপ হবে না, নামাজ হবে।
তবে কেউ যদি মুনাজাতকে নামাজের শেষে বাধ্যতামূলক বলে প্রচার করে , না করলে নামাজ হবে না, গুনা হবে ইত্যাদি - এক্ষেত্রে ইটা হবে বিদআত এবং গুনার কাজ। এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। উভয় পক্ষের আলেমদের বিতর্ক পর্যবেক্ষণ থেকে এটাই আমার মতামত /














তারাবী ২০ নাকি ৮ রাকাত?
এটা কোনো ফরজ নামাজ না। সুতরাং না পড়লে পাপ হবে না তবে পড়লে সওয়াব পাওয়া যাবে। হাদিসে পাওয়া যায় নবীজি মাত্র ৩ দিন জামাতে তারাবী নামাজ পড়েছেন। মা আয়েশা বলেন নবীজী রোযায় ও অন্য সময় এই তারাবী বা তাহাজ্জত ৮ রাকাত পড়তেন আর তিন রাকাত ভিতর মোট ১১ রাকাত পড়তেন। তিনি আরো বলেন ৪ রাকাত করে করে পড়তেন এবং অনেক সময় নিয়ে পড়তেন যা আমাদের দেশের ২০ রাকাত তারাবী হয়তো নবীজির ৪ রাকাত এর সমান বা আরো কম। এই নামাজ রোজার পড়লে বলা হয় তারাবী আর অন্য সময় পড়লে বলা হয় তাহাজ্জত, তাই এটা ২ রাকাত বা ৪ রাকাত করে করে যত সম্ভব পড়া যাবে ২০ রাকাত বা ১০০ রাকাত বা আরো বেশি পড়া যাবে। সাহাবীরাও অনেক সময় ৮ রাকাত ও পড়তেন এবং বেশিও পড়তেন। নবীজি একা একা পড়তেন বাসায়। তবে জামায়াতে চাইলেও পড়া যাবে।
উভয় পক্ষের আলেমদের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে আমার মতামত হল যে কয় রাকাত সম্ভব পড়া যাবে তবে স্পষ্ট উচ্চারণ ও সঠিক ভাবে সূরা তিলায়াত করতে হবে। আমাদের দেশে বেশি রাকাত অতি দ্রুত তিলওয়াত করতে যেযে ভুল উচ্চারণ করেন যা গুনার কাছ।

নবীজি যেহেতু তারাবী নামাজে ইমামতি করেননি যে নামাজটি ফরজ হয়ে যেতে পারে তখন উম্মতের জন্য কঠিন হয়ে যাবে, বর্তমানেও সারা দিন রোজা রেখে মানুষজন বেশি নামাজে উৎসাহিত হবে না পরদিন আবার কাজ আছে আবার মসজিদে ৮ রাকাত পড়ে বের হয়ে আসতে অনেকেই বিব্রত বোধ করে তখন মসজিদেই যাবে না যেহেতু রোজা নিয়মিত ইবাদাতের অভ্যাস আছে এমন শক্ত দৃঢ় মুসলমানরা ছাড়াও প্রায় ৯৯-১০০% মুসলমানই রোজা রাখে এবং তারাবী পড়ার চেষ্টা করে তাই যত কম তাদের সকলেই আনা যায় এবং সহজ করা যায় সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু ৮ হলেই চলে তাই ৮ জামাতের সাথে পড়া উত্তম, পরে একা একা যে যত পারে পড়লো, এমনকি এই জন্য আলাদা তাহাজ্জুদ আলাদা তারাবির নির্দেশ দেননি যে একটা পরেলি দু একসঙ্গে হয়ে যাবে অন্যদিকে যদি ইমাম হাফেজ না হন তখন তিনি দেখে দেখে তিলাওয়াত করতে পারবেন কারণ কুরআন পুরা খতম করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা তারাবি নামাজ নেই, সূরার কিছু অংশ প্রয়োজনে বাংলা অনুবাদ যাতে মুসল্লিরা বুঝতে পারে যেহেতু হযরত ওমর(রা:) সকল ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করতেন, তাই তারাবী ২০ রাকাতই পড়েছেন হয়তো নবীজি এটাই জামাতে সর্বোচ্চ পড়েছিলেন

পরিপূর্ণ সুন্নি মুসলিম নামাজে এমনকি ফরজ নামাজের ক্ষেত্রেও ইমাম সূরা ফাতেহা ও অন্য কি কি সূরা বা কতটুকু নামাজে তিলওয়াত করবেন তা নামাজ শুরুর পূর্বেই মুখস্থ বা দেখে স্ব স্ব জাতির ভাষায় অনুবাদটি বলে নামাজটি শুরু করা উচিত যাতে মানুষ বুঝতে পারে কারণ নবীজির সময় মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ থেকেই কুরআন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যেতো ওয়াজ মাহফিলের পাশাপাশি যেহেতু তিলওয়াত বুঝে পড়তে হবে এবং আরবি ভাষায় উত্তম যেহেতু অনুবাদ ১০০% নির্ভুল করা যায় না কিন্তু সবাইতো আরবি বুঝে না কিন্তু কুরআনের নির্দেশনা বুঝা জরুটি আরবি ভাষা থেকে এমনকি নবীজি তখন কিছু উপজাতিকেও তাদের নিজস্ব ভাষায় কুরআন বুঝিয়ে দাওয়াত দিতেন

বিশ্বের আলেমরা যদি শুধু আরবি ভাষায় হেফজ করে অর্থ না বুঝে তাহলে কিয়ামতের পূর্বে ভুমিকম্পসহ নানা দুর্যোগে কিতাব বই সমূহ পুড়ে গেলে, হারিয়ে গেলে কিভাবে তারা স্ব স্ব জাতিকে নেতৃত্ব দিবে, দ্বীন শিক্ষা দিবে, বুঝাবে, নিজেই যদি না বুঝে? তাই হাফেজ হওয়ার আগে কুরআন-হাদিস বুঝে পড়তে হবে এবং পরে স্ব স্ব ভাষায় মুখস্থ করতে হবে তারপর আরবি ভাষায় হেফ্জ করবে এবং কিছু হাফেজ আরবি ও ইংরেজি অনুবাদ মুখস্থ থাকবে, কারণ ভবিষৎবাণীতে আছে কিয়ামতের পূর্বে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জ্ঞানী ব্যাক্তি, আলেম থাকবে না কিন্তু ডিগ্রিধারী আলেম প্রচুর থাকবে অর্থাৎ মনে হয় আলেমরা শুধু আরবি ভাষায় মুখস্থ করবে আর পরিচয় অর্জন করবে, বুঝানোর বা প্রয়োগের জ্ঞান থাকবে না। আলেম উলামাগণ  সামাজিক শিক্ষকতা বাবদ সামাজিক দাতব্য ফান্ড জাকাত থেকে একটি অর্থ গ্রহণ করতে পারেন যেহেতু সমাজের পক্ষে এবাদত শিখে তা সমাজের ব্যস্ত পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যাতে তারা পড়াশোনায় গবেষণায় বেশি সময় দিতে পারেন আর সমাজকে সঠিকটা ভালোভাবে বুঝানো পারেন যা তাদের জন্য হালাল ও জায়েজ যেহেতু রাষ্ট্র জনগণ এর  ট্যাক্সের একটি ফান্ড থেকে দারিদ্রতা বিমোচনের চেষ্টা করা হচ্ছে , নবীর একান্ত সাক্ষাতে কিছু হাদিয়া নিয়ে আস। (সূরা বাকারা-, সূরা বাকারা-১৮৪,১৮৫)(বুখারি, হাদিস : ২৫৮৫)(বুখারি, হাদিস : ২৫৬৮)(তিরমিজি, হাদিস : ২৭৯০)(বুখারি, হাদিস : ২৫৭৬)(আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৯৭)


সূরা ফাতিহা ইমামের পিছনে কি পড়তে হবে?
জামায়াতে নামাজের সময় ইমাম যখন জোরে শব্দ করে আরবিতে সূরা ফাতেহা পাঠ করেন তখন মুসুল্লিরা শুধু শুনবে ও মনে মেনে অনুবাদ স্মরণ করবে আর যখন জোহর আসর নামাজে ইমাম মনে মনে পাঠ করেন তখন মুসুল্লিরা মনে মনে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে বা এর সাথে অন্য সূরার দু এক আয়াত পড়বে আর সূরা না মুখস্থ থাকলে নীরবে শুধু অনুসরণ করে যাবে ।

উভয় পক্ষের আলেমদের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে আমার মতামত ।

জুমার নামাজ কত রাকাত, পড়ার নিয়ম, আমল ও ফজিলত: জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। জুমার'র অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে "জুমার নামাজ" বলা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে "জুমার নামাজ" বলা হয়। 'হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ সম্পন্ন হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সুরা জুমুআ : আয়াত ৯-১০) জুমার রাকাত সংখ্যা ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জুমার দিন ইমামের ইমামতিতে জামায়াতবদ্ধ হয়ে ২ রাকাত নামাজ পড়া ফরজ। এ নিয়ে কারো কোনো মতপার্থক্য নেই। তবে ফরজের আগে ৪ রাকাত কাবলাল জুমা ও ফরজের পরে ৪ রাকাত বাদাল জুমা সুন্নাতও রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মুসল্লি সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত জুমার নামাজ আদায় করে থাকে। অনেকে আবার জুমার আগে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে। সুন্নাত নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও জুমার ফরজ নামাজ ২ রাকাত এ নিয়ে কারো কোনো মতপার্থক্য নেই। জুমার ফরজ নামাজের আগে ২/৪ রাকাত দুখুলিল-তাহিয়্যাতুল মসজিদ/কাবলাল জুমা এবং পরে ৪ রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নাত নামাজ) আদায় করতে হয়। আর জোহরের নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নাতে মোয়াক্কাদা পড়তে হয়। অথাৎ আলেম উলামাদের ব্যাখ্যানুসারে এটাই স্পষ্ট জুমার পূর্বে নবীজি অন্তত ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ/কাবলাল জুমা নামাজ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন যা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কারণ এক সাহাবী খুৎবার সময় মসজিদে ঢুকে বসে গেলে নবীজি তাঁকে ২ রাকাত পড়ে বসতে নির্দেশ দেন আর সময় বেশি পেলে ২ রাকাতের পর ২ রাকাত বা ৪ রাকাত করে ফরজের পূর্ব পর্যন্ত ইচ্ছামত যত বেশি রাকাত পড়তে পারে বা ওয়াজ শোনা, কুরআন তেলাওয়াত ও দরুদ পড়তে পারবে আর জুমআর ফরজ ২ রাকাতের পর ২ বা ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তে পারে যা সুন্নতে মুয়াক্কাদা, জুমার পরের সুন্নত নামাজটি নবীজি মসজিদে ২ রাকাত পড়তেন আর বাড়িতে ২ রাকাত পড়তেন বা কখনো মসজিদেই একত্রে ৪রাকাতও পড়েছেন। অথাৎ স্বাভাবিক সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে আলেমগণ যোহরের নামাজের ১২ রাকাতের মতই একত্রে জুমা নামাজও ১২ রাকাত প্রচারে রেখেছেন যা নাম ধরে ধরে ভেঙে ভেঙে মানুষকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন মনে করেনি যেহেতু সাধারণ মানুষ অতীতে শুধু আলিমুলামদের অনুসরণ করত, নিজে পড়ে বুঝে জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টা কম ছিল যা বর্তমান যুগে আবার সাধারণ মানুষেরও জ্ঞান ও আগ্রহ বেড়েছে কুরআন সুন্নাহ নিজেরাও পড়ে, বুঝে ও জ্ঞান অর্জন করে । তাই বর্তমানে তা আলাদা আলাদাভাবে কোন নামাজ কত রাকাত ও কিসের নামাজ একত্রে কত বা আলাদা, ইত্যাদি কিতাবে লেখার পাশাপাশি প্রচারেও থাকতে হবে, না হয় দ্বীনে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে। অথাৎ সকল হাদীসগুলো একত্রে এটাই শিক্ষা দিচ্ছে যোহরের নামাজের ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা পড়েই ফরজে দাঁড়ালেও নামাজ হবে কিন্তু জুমার নামাজে তাহিয়্যাতুল মসজিদ ২ রাকাত নামাজটি না পড়ে ফরজ নামাজে দাঁড়ালে জুমা নামাজ হবে না এবং কেউ দেরিতে মসজিদে ঢুকে সরাসরি ২রাকাত ফরজ পড়লেও তাঁকে নামাজ শেষে পরবর্তীতে অন্তত ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ সুন্নাহ আদায় করতে হবে যা জুমার দিনে সুন্নতে মুয়াক্কাদা/কাবলাল জুমা(জুমার পূর্বের সুন্নাহ) অথাৎ ২, ২, ২ একত্রে ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও ফরজ ২ রাকাত মোট ৬ রাকাত নামাজ পড়তেই হবে যা কৌশলী প্রশিক্ষণে একত্রে ৪ রাকাত কাবলাল জুমা(জুমার পূর্বের ২ ও পরের ২ একত্রে ৪ রাকাত সুন্নাহ নামাজ) ও ২ রাকাত ফরজ জুমা নামাজ পড়ে সাধারণত মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় যা ভারতীয় উপমহাদেশের সূফীবাদী গুরুবাদী প্রশিক্ষণ যেহেতু সাধারণ মানুষের সুন্নত নামাজ আদায় আগ্রহ কম থাকে

জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করায় অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিশেষ নুর (আলো) দ্বারা আলোকিত করে দেবেন। (বায়হাকি : ৬২০৯) জুমার দিন অন্য দিনের তুলনায় বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়ার কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিন আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে। আর এই দিনই (সিঙ্গায়) ফুৎকার হবে এবং এই দিনই সবাই অজ্ঞান হবে। কাজেই তোমরা এই দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। (আবু দাউদ : ১০৮৯) যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’ দরুদটি ৮০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ৮০ বছর ইবাদত করার সওয়াব লিখে দেবেন। (হাফেজ সাখাবি আল-কওলুল বাদি : ২৮৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, যখন জুমার দিন কোনো ব্যক্তি গোসল করে এবং সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মাখে বা ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয়, আর দুজনের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না করে, এরপর সে তার জন্য ধার্যকৃত নামাজ আদায় করে এবং ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত (সগিরা গোনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি : ৮৮৩) জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।












Thursday, 3 December 2020

পুস্পস্তবক ও ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি বিতর্কে বর্তমান যুগের ইসলামী ভাবনা ?

THE RIGHT THINKING 24


পুস্পস্তবক ও ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি বিতর্কে বর্তমান যুগের ইসলামী ভাবনা  ?






 
কবরে বা প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো  ইসলাম সমর্থন করে না, শুধু দুআ পাঠ করা যায় আত্মার শান্তির জন্য  কিন্তু ফুল দেওয়াটা এটা একটা রাজনৈতিক চর্চা মাত্র, কোনো ইসলামী বা অন্য কোনো ধর্মের বিধান চর্চা নয় বরং শুধু রাজনৈতিক চর্চায় শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যদিও ইসলাম অনুসারে কিছুটা পাপ হয়। আমরা অইসলামিক  নিয়মে প্রথায় গনত্রান্তিক রাজনৈতিক চর্চা করি। তাই সব প্রথা নিয়ম ইসলামের সাথে মিলবে না।মানুষের , প্রাণীর ,নেতার ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি ইসলামে বানানো নিষেধ  কারণ আগে মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে তাঁদের নেতার মূর্তির বা প্রতিকৃতিটির শ্রদ্ধা করতে করতে একসময় তাদেরকে দেবতা মনে করে পূজা করতে শুরু করেছিল  কিন্তু রাষ্ট্রে আমরা ইসলামের পরিবর্তে সাধারণ আধুনিক গনত্রান্তিক রাজনীতির চর্চা করি। এটা  হলো ইসলামের সাধারণ কুরআন হাদীসগত নিয়ম কিন্তু মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন যুগের সাথে যখন কিছু নতুন বিষয়ের উৎভব হবে তখন ইসলামী চিন্তাবিদ বিশেষজ্ঞগণ ঐ  বিষয়ে ইসলামী মতামত দিবেন তা গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কেউ গ্রহণ না করলেও পাপ হবে না। 

১. পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো রাজনৈতিক নেতাদের, এটা কি ইসলাম সম্মত ?

ইসলাম হল শান্তির ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সকল মানবজাতির জন্য। মানুষ খাবার খাওয়া বা কি কি খাবার খাবে তা থেকে সমাজ , দেশ, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা খলিফা কিভাবে চলবে বা রাষ্ট্র চালাবে এবং বেতন ভাতা কিববে কি করবে সব বলা আছে এবং মহাম্মদ (সাঃ ) তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্ম গুরু এবং খলিফা বা রাষ্ট্রপতি। মানবজাতির সবাই ইসলাম গ্রহণ করবে না , তাই তাদেরকে নিয়েই কিভাবে ম্যাজোরিটি মুসলমানের রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র  পরিচালিত হবে তা ইসলামে আছে এবং অন্য ধর্মের মানুষের রাষ্ট্রের বা সরকার ব্যাবস্থার অধীনে কিভাবে মুসলমান ইসলামী জীবন যাপন করবে তাও বলা আছে। 

পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরী হয়েছিল ইসলামী রাষ্ট্র তৈরী বা ইসলামী বিধান সংস্কৃতি মেনে একটা রাষ্ট্র ব্যাবস্থা গড়ে তুলার লক্ষ্যে  যা হবে ব্রিটেনের মতো আধুনিক গনত্রান্তিক সরকার কাঠামোয় তবে ইসলামী শরিয়া আইনে  নয়,আধুনিক ব্রিটিশ আইনি ব্যাবস্থাপনায় অর্থাৎ রাষ্ট্রের মেজরিটি মুসলমান হওয়ায় রাষ্ট্রটি মুসলমান রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হবে। তারপর চরম  বৈষম্য , বঞ্চনা , অবহেলা করা ও গণত্রান্তিক অধিকার না দেওয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। তবে তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মে বাধা দিচ্ছিল কিন্তু ইসলাম অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রে কোনো বৈষম্য ও অবহেলার সুযোগ নেই। যার ফলে ইসলাম নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক ও গনত্রান্তিক বৈষম্যহীন একটা আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তুলা যা মূলত ব্রিটিশ আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর মতো। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যও তাই ছিল এবং ব্রিটিশ গনত্রান্তিক কাঠামোয় শুরুও হযে ছিলো। অর্থাৎ মুসলমানরা তাঁদের ধর্ম স্বাধীনভাবে চর্চা করবে এবং আধুনিক শাসন কাঠামো গড়ে তুলবে ব্রিটিশদের মতো করে ইসলামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।অন্নান্য ধর্মের মানুষ ও তাঁদের ধর্মীয় স্বাধীনতাভোগ করবে।  ইসলামের ছোট খাটো অসংগতি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে এবং ব্যাবস্থাপনায় সীমিতভাবে থাকবে। রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম বেশি চর্চায় উৎসাহিত করাই এই আধুনিক রাষ্ট্রের মূলনীতি। যেমন মদের সীমিত লাইসেন্স ও রাষ্ট্রে থাকবে।গানবাজনা ইত্যাদি থাকবে।  তবে আলেমরা   মুসলমানের মদ খাওয়া  হারাম তা প্রচার করতে পারবে। মানুষের স্বাধীনতা থাকবে তা মেনে চলার বা না মানার। কেউ বাধা সৃষ্টি করবে না এটাই গনত্রান্ত্যিক রাষ্ট্রের রূপরেখা। 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে এই নয় যে ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া আইন চালু করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে হলো বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্টের বেশি মানুষ প্রায় ৯০% ইসলাম ধর্মের অনুসারী , তারা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম ধর্ম চর্চা করবে আর রাষ্ট্র তা বাস্তবায়ন করবে, কোনো ধরণের বাধা সৃষ্টি করবে না । অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকগন ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা ভোগ করবে। আবার ইসলাম ধর্মের মূলনীতি হলো অন্য কোনো ধর্মের চর্চায় ও শত্রুর ধর্ম চর্চায় বাধা দিবে না বরং নিরাপত্তা দিবে। যেমন সৌদি আরবেও ইহুদি খ্রিস্টানদের তার ধর্ম চর্চায় পালনে বাধা দেয়া যাবে না , ইসলামের এমনটাই নির্দেশ । অর্থাৎ বাংলাদেশ একটা মুসলিম বা ইসলামী আধুনিক গনত্রান্তিক রাষ্ট্র এটাই বাংলাদেশের পরিচয় আর এর জন্য শুধু রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয় , এটা সকলকেই বুঝতে হবে। 

যেহেতু বহুঁদলীয় ব্রিটিশ সরকার কাঠামোর লক্ষ্যে গনত্রান্তিক রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। আর মুক্তিযুদ্ধের একটা মূলনীতি ছিল সকল ধর্মের মানুষ এই রাষ্ট্রে সমান অধিকার পাবে এবং তাঁদের ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা ভোগ করবে। যেহেতু বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান তাই মুসলমান রাষ্ট্র বা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচিতির জন্য শুধু রাষ্ট্রে ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করা হয়েছে , আর কিছু নয়। যেহেতু আধুনিক গনত্রান্তিক রাজনৈতিক নিয়মে রাজনৈতিক দল ও দেশ ও সরকার ব্যাবস্থা পরিচালনা করতে হয়, তাই এখানে অনেক নিয়ম ও প্রথা ইসলামের আকিদা, বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ ইসলামী বিধান তাঁর স্বাধীনতা মোতাবেক চর্চা করবে। 

যেমন নেতার কবরে ফুল দিয়ে জিয়ারতের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো এবং তার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। এখানে সকল ধর্মের নারী পুরুষ ফুল দিয়ে মুসলমান হলে নেতার আত্মার শান্তির জন্য দুয়া পাঠ করবে আর অন্যরা সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মার শান্তি কামনা করবে। এটা সাধারণ কোনো মৃত ব্যাক্তির  কবর জিয়ারতের নিয়ম শিখানো নয় যদি তা হতো তাহলে তা বিদাত বা ইসলামের লঙ্গন হতো। ইসলামে মৃত ব্যাক্তির কবর যেভাবে জিয়ারত করতে বলা হয় রাজনীতি দল ও নেতারা তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করবেন এবং ব্যাক্তিগত জীবনে তা পালনের চেষ্টা করবেন। ইসলামের এই বিধান প্রচারে বাধা দিবেন না এবং নিজেদের এই রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়মকে ইসলামী বিধান বলে যদি প্রচার না করে শুধু একটা রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়ম তা শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে বলে প্রচার এবং স্বীকার করেন। এক্ষেত্রে এটা ইসলামে গুনা বা হারাম বা ইসলামের লঙ্গন হবে না বলেই আমি মতামত দিবো। কারণ এটা রাজনৈতিক দলকে তাঁর নেতাকর্মী তৈরিতে ও উজ্জীবিত করতে এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে করতে হয়। আর এই রাজনৈতিক দলসমূহ ও রাজনীতির জন্য রাষ্ট্রে শান্তি ও ইসলাম ধর্মের মানুষ ইসলামী জীবন যাপন করার স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই শুধু রাজনীতির প্রয়োজনে ইসলামের এই বিধানকে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় এইভাবে ফুল দিয়ে চর্চা করলে তা ইসলাম সম্মত হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো ফুলের মাধ্যমে কবর জিয়াতের নিয়ম ব্যাক্তিগত জীবনে শিখাচ্ছে না। 



রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়মকে ইসলামী বিধান বলে যদি প্রচার না করে শুধু একটা রাজনৈতিক প্রথা বা নিয়ম তা শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে বলে প্রচার এবং স্বীকার করেন। এক্ষেত্রে এটা ইসলামে গুনা বা হারাম বা ইসলামের লঙ্গন হবে না বলেই আমি মতামত দিবো। কারণ এটা রাজনৈতিক দলকে তাঁর নেতাকর্মী তৈরিতে ও উজ্জীবিত করতে এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে করতে হয়। আর এই রাজনৈতিক দলসমূহ ও রাজনীতির জন্য রাষ্ট্রে শান্তি ও ইসলাম ধর্মের মানুষ ইসলামী জীবন যাপন করার স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই শুধু রাজনীতির প্রয়োজনে ইসলামের এই বিধানকে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় এইভাবে ফুল দিয়ে চর্চা করলে তা ইসলাম সম্মত হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো ফুলের মাধ্যমে কবর জিয়াতের নিয়ম ব্যাক্তিগত জীবনে শিখাচ্ছে না। 

২. ভাস্কর্য, মূর্তি , প্রতিকৃতি এবং ইসলাম ? 
মানুষের , প্রাণীর ,নেতার ভাস্কর্য বা মূর্তি বা প্রতিকৃতি ইসলামে বানানো নিষেধ  কারণ আগে মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে তাঁদের নেতার মূর্তির বা প্রতিকৃতিটির শ্রদ্ধা করতে করতে একসময় তাদেরকে দেবতা মনে করে পূজা করতে শুরু করেছিল। ইসলাম ধর্মে এক আল্লাহ ছাড়া সব মূর্তির পূজা করা নিষেধ। কিন্তু বর্তমান যুগে বিভিন্ন নেতার স্ট্যাচু বা মূর্তি বানানো হয় নেতাকে স্মরণীয় করে রাখতে বা পুস্পস্তব দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। আবার বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি বানানো হয় দৃষ্টিনন্দের জন্য। স্ট্যাচু বা মূর্তির বা প্রতিকৃতির  মাধ্যমে কোনো স্মরণীয় জাতীয়  নেতা বা বীর বা কোনো জাতীয় প্রাণী যেমন বাঘ দৃষ্টিনন্দন কোনো স্থাপনার মাধ্যমে তৈরী করা হয় আর এটাই ভাস্কর্য এবং তা যদি শুধু শিশুদের , মানুষকে নেতার ভালো কর্ম স্মরণ বা নেতাকে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে বা বাঘ জাতীয় পশু তা পরিচিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় এবং তা সীমিতভাবে তৈরী করা হয় এবং তা শুধু রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলার জন্য হয় তা রাজনীতি উদ্দেশ্যে হয়, ধর্মীয় নয়  এবং রাষ্ট্র থেকে স্বীকার ও প্রচার করা হয় যে মূর্তি পূজা করা হারাম , আর এই ভাস্কর্যকে ইসলাম অনুমোদন দিবে বলেই আমি মতামত দিবো। আল্লাহ সবসময় মানুষের মনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যকে বেশী গুরুত্ব দিবেন তার বাহ্যিক কর্মের থেকে। উদ্দেশ্য যেহেতু মূর্তি পূজা নয় সেক্ষেত্রে ধর্মের লঙ্গন হবে না। তবে অপ্রয়োজনে যদি সকল প্রাণীর এবং নেতার হাজার হাজার ভাস্কর্য তৈরী হয় তখন উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়ে এমন ধরণ করবে যে তোমরা নেতাকে স্মরণ করো এবং ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা করো তখন একধরণের পূজা করা হয়ে যাবে ভাস্কর্য বা মূর্তি, তখন তা আবার হারাম হবে। তবে ভাস্কর্য বিভিন্নভাবে বানানো যায় যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে স্হাপত্য শিল্প ফুটিয়ে তুলাকেই ভাস্কর্য বলা যায় যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন, প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়ার মাজার, জাতীয় তিন নেতার মাজার স্থাপনা একটা দৃষ্টিন্দন ভাস্কর্য। ভাষা শহীদ স্থাপনা , শহীদ মিনার এসব ও ভাস্কর্য। যদিও এসব ভাস্কর্য নিয়ে ইসলামে বিতর্ক নেই, শুধু মানুষ আর প্রাণীর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

৩. পেইন্টিং বিষয়ে একই যেমন ইসলামে মানুষের বা প্রাণীর পেইন্টিং কড়াকড়ি আছে তবে পেইন্টিং ইসলামে হারাম নয়।   অকারণে পেইন্টিং তৈরী করে মানুষকে মূর্তি পূজার বা দেব দেবতার দিকে দাবীত করা হলে ইসলাম এটাকে হারাম বলবে। তবে অশ্লিল নয় এমন পেইন্টিং ঘরবাড়ি সাজানোর জন্য বা প্রদর্শনীর জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরী করলে তা ইসলাম অনুমোদন দিবে বলে মনে করি। তবে নামাজের ঘরে অবশ্যৈই মানুষের বা প্রাণীর পেইন্টিং রাখা যাবে না, এটা হারাম।  

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। তাই আল্লাহ ইসলামকে জীবনে সহজ করেছেন। এমনকি মহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন আমি যা করি তা তোমাদের করার দরকার  নেই তোমরা তা পারবে না, তোমরা শুধু ওইটুকু করো যা আমি করতে বলছি। তিনি আরো বলেন ইসলাম নিয়ে বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জুলম করো না। এমনকি কুরআনে আল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানরা যদি এক আল্লাহ ইবাদত করে এবং বিশ্বাস করে এবং ঈসাকে (আঃ ) কে তাঁদের নবী মেনে নেয় , যেভাবে তিনি পথ দেখিয়েছিলেন তা মেনে চলে, ইসলাম গ্রহণ নাও করে , তাঁদের জন্য আখিরাতে আল্লাহ চরম শান্তির বা বেহেস্তের ব্যাবস্থা রেখেছেন। তাই ইসলাম ধর্ম যতদিন যাবে তত নতুন নতুন বিষয়ের মুখমোখী হবে, তাঁর জন্য বাস্তবসম্মত আধুনিক সমাধান দিতে হবে কারণ ইসলাম বর্তমান দুনিয়ায় আল্লাহর একমাত্র শ্রেষ্ঠ আধুনিক ধর্ম , এমনভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে বা চর্চা করতে হবে যাতে কেউ বলতে না পারে ইসলামের বিধিবিধান আধুনিক জীবনযাপন, শিক্ষায়, শিল্প , সাহিত্য  ও জ্ঞান  বিজ্ঞান চর্চায় বাধা দেয়। এই যে জাতিসঘের হিউমান রাইটস মানবাধিকার তা বহু আগেই ইসলামে আছে , নবীজি যুদ্ধ বন্দিদের সাথে ভালো আচরণ করতেন , যা এখন আধুনিক যুদ্ধ মানবাধিকার বা আধুনিক নিয়ম।