Wednesday 3 April 2024

ধর্মীয় ব্যাখ্যানুসারে ভূমিকম্প হচ্ছে মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা?

THE RIGHT THINKING 24

 
 ধর্মীয় ব্যাখ্যানুসারে  ভূমিকম্প হচ্ছে মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। মানুষ যেন নিজের অপরাধের জন্য তাওবা করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। নিজের অনৈতিক আচার-আচরণ ঠিক করে নেয়। সবার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দোয়া করে। আল্লাহকে অনেক বেশি স্মরণ করে এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

মানুষকে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘জনপদের অধিবাসীরা কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে যে, আমার আজাব (নিঝুম) রাতে তাদের কাছে আসবে না, যখন তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে!’ (সুরা আরাফ: ৯৭)

 আল্লাহর দেয়া প্রকৃতি যেন ঘন ঘন বৈরী হয়ে উঠছে। আসলে এসবের জন্য মানুষের অনাচার দায়ী। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন : মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে। (সূরা রুম : আয়াত ৪১)। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ, পরিবেশ দূষণ ও পাপাচারের ফলে মানুষই প্রকৃতিকে বৈরী করেছে। প্রকৃতি নিজে কোনো বুদ্ধিমান চিন্তাশীল সত্তা নয়। এর স্রষ্টা ও বিধাতা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিয়মে ও হুকুমে প্রকৃতি পরিচালিত হয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ। তিনিই স্রষ্টা ও বিধাতা। তার গজবের বহিঃপ্রকাশ হয় প্রকৃতির বৈরিতায়। আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ ব্যবহার সত্ত্বেও সঠিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হচ্ছে না, বান্দার অপরাধ ক্ষমা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক অপরাধ ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ৩০)

পবিত্র কোরআনে ভূমিকম্প বিষয়ে ‘যিলযাল’ এবং ‘দাক্কা’ শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘যিলযাল’ অর্থ হচ্ছে একটি বস্তুর নড়াচড়ায় আরেকটি বস্তু নড়ে ওঠা। ‘দাক্কা’ অর্থ হচ্ছে প্রচণ্ড কোনো শব্দ বা আওয়াজের কারণে কোনো কিছু নড়ে ওঠা বা ঝাঁকুনি খাওয়া।

ভূমিকম্প সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘এ উম্মত ভূমিকম্প, বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণের মুখোমুখি হবে। একজন সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, কখন সেটা হবে হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বলেন, যখন গায়িকা(নগ্ন মেয়ে) এবং বাদ্যযন্ত্রের(উচ্চশব্দে বিকৃত) প্রকাশ ঘটবে এবং মদপানের সয়লাব হবে।’ (তিরমিজি: ২২১২)

অন্যত্র বলা হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে কিয়ামতের একটি অন্যতম আলামত। কিয়ামত যতই নিকটবর্তী হবে, ভূমিকম্পের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকবে।

ভূমিকম্পের বিভীষিকা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মানব জাতি, তোমরা ভয় করো তোমাদের রবকে। নিশ্চয়ই কেয়ামত দিবসের ভূকম্পন হবে মারাত্মক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, স্তন্যপায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।’ (সুরা হজ: ১-২)
ভূতত্ত্ববিজ্ঞান বলে, ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এমন আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) বলে। সাধারণত তিনটি কারণে ভূমিকম্পের উত্পত্তি হয়ে থাকে—ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত ও শিলাচ্যুতিজনিত কারণে ভূমিকম্প হয়।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আজাবের) নিদর্শনগুলো পাঠাই। ’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত নং : ৫৯)। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, “বলে দাও, ‘আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম। ’ (সুরা আনআম, আয়াত নং : ৬৫)

বুখারি শরিফে আছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ আয়াতটি নাজিল হলো, তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ’ ”(বুখারি)

ভূমিকম্পের কতগুলো কারণ সম্পর্কে জানা যায় হাদিসের মাধ্যমে। প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, ব্যভিচার বাড়বে, সৃষ্টিকর্তাদ্রোহীতা হবে(কুরআন সুন্নাহ আধ্যাতিক ইবাদত অবহেলা)। কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখলে তা আত্মসাৎ করা হবে। জাকাতকে মনে করা হবে জরিমানা হিসেবে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে। পুরুষ তার স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে। বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে বাবাকে দূরে সরিয়ে দেবে। মসজিদে শোরগোল (মনোযোগহীন লোকদেখানো এবাদত, আড্ডাবাজি) হবে। সবচেয়ে দুর্বল(দায়িত্বহীন) ব্যক্তি সমাজের শাসক হবে। সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো—রক্তিম বর্ণের ঝড়ের, ভূকম্পনের, ভূমিধসের, লিঙ্গ পরিবর্তন, পাথর বৃষ্টির এবং সুতো ছেঁড়া (তাসবিহ) দানার ন্যায় একটির পর একটি নিদর্শনগুলোর জন্য।’ (তিরমিজি: ১৪৪৭)

ভূমিকম্পের বিভীষিকা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মানব জাতি, তোমরা ভয় করো তোমাদের রবকে। নিশ্চয়ই কেয়ামত দিবসের ভূকম্পন হবে মারাত্মক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, স্তন্যপায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।’ (সুরা হজ: ১-২)

 ভূমিকম্প কেয়ামতের একটি আলামত আর কেয়ামতের ছোট ছোট আলামতগুলো বার বার ঘটতে থাকবে যা আল্লাহমুখী হতে অধিক সতর্কবার্তার অংশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বোখারি, হাদিস নং : ৯৭৯) প্রত্যেক মুসলমানের খুবই আন্তরিকভাবে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করা উচিত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি জনপদের মানুষগুলো ঈমান আনতো এবং (আল্লাহকে) ভয় করতো, তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান-জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা (আমার নবীকেই) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম। ’ (সুরা আরাফ : ৯৬)


তাই বলা যায়, বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে, তা মহান আল্লাহর পাঠানো সতর্কবার্তার নিদর্শনগুলোর একটি। এগুলো দিয়ে তিনি বান্দাদের সাবধান করেন। মূলত এগুলো মানুষের পাপ ও অপরাধের ফল। কেননা আল্লাহ অধিকাংশ জাতিকে ভূমিকম্পের গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন।

ভূমিকম্প এমনই এক দুর্যোগ; যা নিবারণ, প্রতিকার বা প্রতিরোধ করা বা পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি মানুষ এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। সুতরাং ভূমিকম্পের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

বাংলাদেশে চার মাসে তিন বার ভূমিকম্প যে কারণে ? 

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের পরস্পরমুখী গতির কারণেই এ ধরণের ভূমিকম্প হচ্ছে। এই দুটি প্লেটের সংযোগস্থলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমে রয়েছে যেগুলো বের হয়ে আসার পথ খুঁজছে। আর সে কারণেই ঘন ঘন এমন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। আর চলতি বছরের মে মাসের পাঁচ তারিখে আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায়। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় ইন্ডিয়ান প্লেট ও বার্মা প্লেট নামে দুটি টেকটনিক প্লেটের অবস্থান রয়েছে। এরমধ্যে ইন্ডিয়ান প্লেটটি উত্তর-পূর্ব দিকে এবং বার্মিজ প্লেটটি পশ্চিম দিকে যাচ্ছে।

 উল্লেখ্য,  এসব হলো বিজ্ঞানভিত্তিক উপমা মাত্র যা আল্লাহর ভূখণ্ডগত সৃষ্টির ব্যবস্থাপনা অথাৎ জনবসতিকে আগাম সাবধান সতর্কতা দিয়ে রাখা এবং প্রয়োজন হলে হলে এই প্লেট ব্যবহার করে আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতাকুল ভূমিকম্প পরিচালনা করবে। আর মানুষ সাবধান হয়ে সংশোধন হলে এসব ঘটবে না। আর যেখানে এমন আগাম সাবধানবাণী দেওয়া প্রয়োজন সেখানেই নতুন প্লেটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। 

বেঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশ, প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, ৭ সিস্টার,নেপাল-ভুটান, থাইল্যান্ড, মায়ানমার এই অঞ্চল ঘিরে একটি  বড় বিপদ বা পাপশক্তি(কুরআন সুন্নাহ আধ্যাতিক ইবাদত অবহেলা) জমা হয়েছে, হচ্ছে যার প্রতিফলন শিক্ষক মুসলিমদের উপরও ঘটবে। এমনকী এই অঞ্চলের দায়িত্ব বাংলাদেশের মুসলিমদের(আধ্যাত্মিক ইসলামী শিক্ষক ) ওপর বর্তিত হয়েছে অথাৎ জনগোষ্ঠীর অ-ইসলামিক কাজের প্রতিফলন  ঈমানদার  মুসলিমসহ অমুসলিমদের( আধ্যাত্মিক ছাত্র) উপর গজবটি পতিত হবে যা হাদিসে উল্লেখ হয়েছে অমুসলিমদের পাপের দায়িত্ব ঈমানদার মুসলিমদের ক্ষতিগ্রস্থ করবে তবে ঈমানদার মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে যাবে। এই অঞ্চলে মাওলানারা ওয়াজ মাহফিল করে ইসলাম প্রচার করছে তবে তা তেমন কাজে আসছে না যা সরকারিভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবেও ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যেমন ইসলামিক জ্ঞান অর্জন স্কুল-কলেজে মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ের জন্য ফরজ-বাধ্যতামূলক করতে হবে, দক্ষিণ ভারতের মতো মূর্তিবিহীন এক সৃষ্টিকর্তার উপাসনার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ উপরোক্ত পাপগুলো যেমন  ব্যাভিচার অমুসলিম পর্যন্ত করছে না তাই যেসব দেশে ও সমাজে নারীর অধিকার ও চরিত্র সম্মান রক্ষা করে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে সম্ভব হলে ব্যাভিচার এটাকে সংশোধন করে মুতাহ বিবাহ দিতে হবে যা আহলি কিতাবদের জন্যতো জায়েজই,  প্রয়োজন হলে মুসলিমদের জন্যও সম্ভব(ইমাম হান্বালী) অথাৎ  তাঁদের ২৭/২৮ কোটি অমুসলিমের সঠিক ধর্ম জ্ঞানটি  থাকলে তাঁরা ইসলামে ফিরে আসবে আর তা প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পড়েছে ২৩/২৪ কোটি মুসলিমের ওপর বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র বাংলাদেশ ।  আর ইসলামিক এবাদতসমুহ  করাতে বা  ইসলামে অন্তর্ভুক্তিকরণ করতে আমার লেখা বইটি স্কুল-কলেজে পাঠ্য করতে হবে যা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক আদর্শ সম্প্রীতি । কারণ এই অঞ্চলে অমুসলিম ইবাদতগতভাবে খুবই ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় আছে আর মুসলিমদের নিজেদেরও ত্রুটি ও পাপাচার থেকে সংশোধন হতেতো  হবেই, ইবাদতে বিভিন্ন জিকির দোয়া দরূদ পড়ায় অভ্যস্থ হওয়ায় । প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম মানদণ্ড বিবেচনায় ইসলামী ইবাদতসমূহ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজাকিস্তান, তুর্কিমিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানের ওপর দায়িত্ব পড়েছে রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ভারত, আসিয়ান অঞ্চলের আর আরব রাষ্ট্রগুলোর উপর দায়িত্ব পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আফ্রিকার মত অঞ্চলগুলির আর দায়িত্ব পালন অবহেলার প্রতিক্রিয়াও(অমুসলিমদের ইসলামী ইবাদতহীনতার বোঝা) স্বাভাবিকভাবেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুসলিমদের বহনও  করতে হবে যা মহাবিশ্বের সৃষ্টিজগতের বাস্তুসংস্থানগত প্রাকৃতিক ভারসাম্য নিয়ম তবে মুসলিমগণের তীব্র প্রচেষ্টা থাকলে দায়িত্ব পালন ঘাটতি না থাকায়  আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে অথাৎ ৫৭টি মুসলিম দেশের উপর ২০০ টি দেশের দায়িত্ব পড়েছে, ২৫০ কোটি মুসলিমের ওপর ৬৫০ কোটি অমুসলিমের আধ্যাত্বিক ইবাদত দ্বীন প্রচার প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পড়েছে যেমন ওয়াজ মাহফিল, বইপত্র বিতরণ, বিতর্ক সভা ও অনলাইনে প্রচার, ইত্যাদি যেমন পরিপূর্ণ মুসলিম বিশ্বাসে ঈমান এনে শুধু সুনির্দিষ্ট কুরআন সুন্নাহ চর্চ করে মুসলিম হওয়া অথবা ৬৫০ কোটি অমুসলিম ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে যোগোপযোগী পবিত্রকরণ বিশুদ্ধ আহলে কিতাব মুসলিম হয়ে যাওয়া যা কুরআন সুন্নাহ ইবাদতসমূহ তাঁদের আদি কিতাব তাওরাত ও ইঞ্জিলের সাথে প্রতিস্থাপন করে চর্চা করা অথাৎ সুনির্দিষ্ট  কুরআন সুন্নাহ ইবাদতসমূহের সাথে অতীতের এই দুটি কিতাবের মান্দন্ডেও কিছু ইবাদত চর্চা করতে পারবে যা প্রথম শ্রেণীর জান্নাত অর্জন না হলেও যথেষ্ট নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত অর্জন হবে আর তাঁরা ত্রুটিপূর্ণ অমুসলিম(পরিপূর্ণ কাফের) বিবেচিত হবে না বরং ছোট মুসলিম বিবেচিত হবে যা নওমুসলিম প্রক্রিয়ায় অবস্থান করছে আর জাবুর কিতাব কুরআন-সুন্নাহ ও ইঞ্জিলের মধ্যেই বিদ্যমান তবে একটি লানতপ্রাপ্ত পাপাচার পরিপূর্ণ মুসলমানদের অনুমতি ছাড়া তাঁদের ইবাদতঘর ও পবিত্র স্থান দখল(Trespass) করা যাবে না । পৃথিবীকে যখন তার প্রচন্ড কম্পনে কাঁপিয়ে দেয়া হবে, এবং পৃথিবী যখন তার ভারসমূহ বের করে দেবে, সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়। [সূরা আয-যিলযাল ১-৮] প্রতিবেশী কারা? কতদূর এর সীমা? এ প্রশ্নের জবাবে হজরত হাসান (রা.) বলেছেন, 'নিজের ঘর থেকে সামনে ৪০ ঘর, পেছনে ৪০ ঘর, ডানে ৪০ ঘর এবং বাঁয়ে ৪০ ঘরের অধিবাসী হচ্ছে প্রতিবেশী। ' অথাৎ রাষ্ট্র হিসেবে আশেপাশের ৪০ শহরের যা আশেপাশের কয়েক দেশ 


আল্লামা ইবনু কাইয়িম (রহ.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন। ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর নিকট তাওবা করে, পাপ কর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মোনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলতো, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেছেন। ’

 অথাৎ এসবে সংশোধন হতে পারলে ভূমিকম্প প্লেট থাকলে ভূমিকম্পটি কখনো ঘটবে না যা প্লেট আকারেই থাকবে চিরকাল মাত্র কারণ গবেষণায় দেখা যায় ভূমিকম্পটি কখনো প্রাকৃতিকভাবে ঘটবে না। এটি একমাত্র আল্লাহর সতর্কবার্তা না মেনে জনগোষ্ঠী সংশোধন না হলে তখনই একামাত্র আযাব-শাস্তি হিসেবে আসে। আর বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জানা যায়, এই অঞ্চলটি এজন্য ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে এবং মুসলিমদের প্রচেষ্টাও বিদ্যমান থাকায় আপাতত বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নেই তবে বর্তমান প্রচেষ্টার আরো ব্যাপক প্রসার না করলে দ্রুতই অপ্রত্যাশিত বিষয়টি ঘটবে কারণ প্রচেষ্টার তুলনায় পাপশক্তি উৎপাদন আনুপাতিক হারে বেশি হলেই বিপদ আসন্ন,  এজন্য ছোট ছোট  বার বার ভূমিকম্প সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে, অতীতের ৬ জাতির ধ্বংসের মূর্তিপূজা ও পাপাচার থেকে তাই জানা যায়  । বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প হচ্ছে তাদের সকলের দায়িত্ব ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যা দায়িত্ব অবহেলার কারণে , গোটা মানবজাতিকে প্রকাশ্যে স্পষ্ট ভাষায় আল্লাহর স্বীকৃতি দিতে হবে।

ইসলামী জীবন যেভাবে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব

কারো উপকার স্বীকার করা, তার প্রশংসা করা এবং কাজে-কর্মে প্রতিদান দেওয়ার নামই কৃতজ্ঞতা। বান্দার পক্ষে আল্লাহর ক্ষুদ্রতম কোনো অনুগ্রহেরও প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও দান স্বীকার করে, তাঁর প্রশংসা করে ও তাঁর আনুগত্য করে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারে। আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের অপরিহার্য দায়িত্ব,  গোটা মানবজাতিকে প্রকাশ্যে স্পষ্ট ভাষায় আল্লাহর স্বীকৃতি দিতে হবে

কৃতজ্ঞতা অপরিহার্য কেন

মুমিনের জীবনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অপরিহার্য। কারণ হলো :

১. আল্লাহর নির্দেশ : মহান আল্লাহ বান্দাদের তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কোরো এবং আমিও তোমাদের স্মরণ করব। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমরা কৃতঘ্ন হইয়ো না।

’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫২)

২. নেয়ামত বৃদ্ধি পায় : কোনো বান্দা যদি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো, আমি অবশ্যই (আমার অনুগ্রহ) তোমাদের বাড়িয়ে দেব। আর যদি কৃতঘ্ন হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

৩. নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্য : কৃতজ্ঞতা আদায় করা নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্য।

পবিত্র কোরআনে নবীদের কৃতজ্ঞ বলে প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘ইবরাহিম ছিল এক উম্মত, আল্লাহর অনুগত, একনিষ্ঠ এবং সে শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সে ছিল আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে পরিচালিত করেছিলেন সরল পথে।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২১)

অন্য আয়াতে নুহ (আ.) সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে তাদের বংশধর, যাদের আমি নুহের সঙ্গে আরোহণ করিয়েছিলাম, সে ছিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা।

’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩)

৪. আদর্শ বান্দার বৈশিষ্ট্য : আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা ছাড়া কোনো পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের আমি যেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে আহার কোরো এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কোরো, যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭২)

৫. মানবপ্রকৃতির দাবি : আল্লাহ মানুষের সেবায় তাঁর অসংখ্য সৃষ্টিকে নিয়োজিত করেছেন। সুস্থ মানবপ্রকৃতির দাবি হলো মানুষ এই বিপুল অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাঁর নিদর্শনাবলির একটি যে তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দেওয়ার জন্য ও তোমাদের তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করানোর জন্য; এবং তাঁর নির্দেশে নৌযানগুলো বিচরণ করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।’ (সুরা রোম, আয়াত : ৪৬)

যেভাবে কৃতজ্ঞতা আদায় করব

কৃতজ্ঞতা আদায়ের যত পদ্ধতি আছে মুমিন সব পদ্ধতিতে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, বান্দা অন্তর তথা অভ্যন্তরীণ বিনয় ও বিনম্রতার মাধ্যমে, জবান তথা প্রশংসা ও স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তথা আনুগত্য ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। (মাদারিজুস সালিকিন : ২/২৪৬)

১. অন্তরের কৃতজ্ঞতা : বান্দা তাঁর হৃদয় ও মন দিয়ে মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। মুমিন হৃদয়ের বিশ্বাস যেন নিম্নোক্ত আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যেসব নিয়ামত রয়েছে তা আল্লাহর কাছ থেকে; আবার যখন দুঃখ-দৈন্য তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহ্বান করো।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৫৩)

২. মৌখিক স্বীকৃতি : বান্দা অন্তরে যেমন আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে, তেমন মুখে আল্লাহর অনুগ্রহের স্বীকৃতি দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সে বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন যে খাবার খায় এবং এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে অথবা যে পান করে এবং সে জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৩৪)

৩. কাজে-কর্মে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ : মুমিন তাঁর কর্মকাণ্ড তথা আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি বলেছিলাম, হে দাউদ পরিবার, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তোমরা কাজ করতে থাকো। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ।’ (সুরা সাবা, আয়াত : ১৩)

৪. কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার প্রার্থনা : মহানবী (সা.) উম্মতকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুয়াজ, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি প্রত্যেক নামাজের পর এই দোয়াটি কখনো পরিহার করবে না : হে আল্লাহ, আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ইবাদতে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৫২২)
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। এছাড়া যে কোনো দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পড়তে পারেন-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ. (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই, মুহাম্মদ সা. তাঁর রাসুল),
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। আর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বা বিসমিল্লাহ বলে খাবার খাওয়া বা ভালো কাজ শুরু করা ।


আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন






No comments:

Post a Comment