Sunday, 15 June 2025

সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শত ব্যাস্ততার মধ্যেও প্রায় ৩-৫ মিলিয়ন লোকের সমাগম সম্ভব হয় !

THE RIGHT THINKING 24

 সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শত ব্যাস্ততার মধ্যেও প্রায় ৩-৫ মিলিয়ন লোকের সমাগম সম্ভব হয় !

 ইসলামি পন্ডিতদের দ্বারা সঙ্গীতের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মুসলিম বিশ্বের অনেক স্থানে ভক্তিমূলক/ধর্মীয় সঙ্গীত ধর্মনিরপেক্ষ সঙ্গীত ভালোভাবে বিকশিত জনপ্রিয় হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, ইসলামি স্বর্ণযুগে ইসলামি শিল্প সঙ্গীতের বিকাশ ঘটেছিল। ধর্মনিরপেক্ষ লোকসঙ্গীত শৈলী মধ্যপ্রাচ্যে আরবি সঙ্গীত, ইরানি সঙ্গীত, তুর্কি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিশরীয় সঙ্গীত এবং উত্তর আফ্রিকায় আলজেরীয় মরক্কি সঙ্গীতের মধ্যে পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ায় স্বতন্ত্র সঙ্গীত শৈলী রয়েছে আফগান, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি, মালদ্বীপীয় সঙ্গীত।

জাকির নায়েক মনে করেন দুটি ছাড়া বাদ বাকি সব বাদ্যযন্ত্র হারাম, যথা- দাফ (একটি ঐতিহ্যবাহী একপিঠে ঢোল) এবং খঞ্জনী, যার কথা হাদিসেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্নি ইসলামের একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং শিয়াদের অন্য একটি গোষ্ঠীর মতে, অনুষ্ঠান উৎসবগুলোতে মহিলাদের জন্য দাফ বাজিয়ে সঙ্গীতের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যেতে পারে৷ এই ব্যতিক্রমটি একটি সুপরিচিত হাদিস থেকে এসেছে যেখানে দুটি ছোট মেয়ে একজন মহিলার কাছে গান গাইছিল এবং আবু বকর এতে বাঁধা দিতে চাইলে ইসলামের পয়গম্বর মুহাম্মদ তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন, এই বলে যে, "ওদের ছেড়ে দাও আবু বকর, কারণ প্রতিটি জাতির একটি ঈদ (অর্থাৎ উৎসব) রয়েছে এবং এই দিনটি হলো আমাদের ঈদ।"

ইসলাম সঙ্গীতের মাঝে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি জটিল বিতর্কিত বিষয়। অনেক মুসলিম বিশ্বাস করেন যে কুরআন সুন্নাহমতে সঙ্গীত (বাদ্যযন্ত্র গান গাওয়া) নিষিদ্ধ; তবে অন্যান্য মুসলিমরা এই বিষয়ে একমত নন এবং বিশ্বাস করেন যে সঙ্গীতের কিছু ধরন অনুমোদিত বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও, বিভিন্ন সময় ইসলামী বিশ্বের স্থানে সঙ্গীত জনপ্রিয়তা সমৃদ্ধি লাভ করেছে। বিবাচন এড়াতে প্রায়ই প্রাসাদে ব্যক্তিগত বাড়িতে সঙ্গীত পরিবেশন করা হতো।

মুসলিম বিশ্বে অনেকাংশে ভক্তিমূলক/ধর্মীয় সঙ্গীত ধর্মনিরপেক্ষ সঙ্গীত ভালোভাবে বিকশিত জনপ্রিয় হয়। যাইহোক, গান গাওয়া অনুমোদিত, অথবা কিছু যন্ত্র যেমন ঢোল অনুমোদিত, অথবা যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি এর শ্রোতাদের প্রলোভনে না নিয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত অনুমোদিত। তবে নিজেদের সিদ্ধান্ত বিবেচনায় এটি পরিবর্তন হতে পারে। 

পরিবেশ রক্ষায় গাছপালা, বনাঞ্চল, খাবারে ফলমূল ও গাছপালা লতাপাতা এবং এসবে মানুষের আনন্দউৎসব যেখানে নবীজির প্রশংসাপূর্বক ও অনুমতির সহিত আলী রাঃ ও নবী দাউদের আঃ মতো মধুর সুরের গান বাজনাও  প্রাসঙ্গিক। ''আনন্দোৎসব ''

''মহান আল্লাহ (অন্য একটি বিশেষ প্রসঙ্গে) বলেন, ‘হে রাসুল বলুন, যখন আল্লাহর অনুগ্রহ, রহমত, সম্মান ও করুণা অর্জিত হয়, তখন তারা যেন আনন্দোৎসব করে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৮)''

যাইহোক, আগেই অবশ্য উল্লেখ করেছি আমরা জুরিস্ট বা আইনজীবীগণ বা আইনপ্রণেতারা রাজনীতিবিদসহ স্টেকহোল্ডার সকলেই একমত যে জুরিসপ্রুডেন্স অনুসারে আইন প্রণয়নের কতগুলো প্রচলিত মৌলিক নিয়মনীতি রয়েছে যেমনঃ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন, চাহিদা, চাওয়া, দাবী, অভ্যাস বা সংস্কৃতি, বৈশিষ্ঠ্য, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিশ্বাস চর্চাসমূহ, ইত্যাদি যা জীবনাচারকে প্রাধান্য দিয়েই মূলত সামগ্রিক সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্তভাবে যুগোপযোগী বা যুগের চাহিদা মানদণ্ড একটি যৌক্তিক নিরপেক্ষ মানদণ্ড নির্ধারন করে চূড়ান্তভাবে সামাজিক রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক বা সরকারি বিধি বিধান হিসেবে চালু করা অনুমোদন দেওয়া হয় যা মূলত প্রচলিত বা কার্যকর আইন বা বিধি হিসেবে রাষ্ট্রে চলমান থাকে তাঁরাই ধারাবাহিকতায়, সংগীতে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে প্রযুক্তিভাবে সামাজিক রাষ্ট্রীয় অন্নান্য উন্নয়নের ফলে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বিশেষ করে কুরআন সুন্নাহর ইসলামী প্রাথমিক যুগের ডাব বা ডোল, খঞ্জর বা তবলা সহিত ঈদ সঙ্গীত যা বর্তমানে যুগের সাথে তালমিলিয়ে আজ সাংস্কৃতিক জগতে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে বিস্তৃত হয়েছে যেখানে এটি আজ শুধু আনন্দ বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় কারণ এখানে বর্তমানে নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি মাস্টার পিএইচডি করে সঙ্গীত বাদ্যযন্ত্র, শিল্পকলা সংস্কৃতি, সাহিত্য বিশেষজ্ঞ তৈরী হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ সঙ্গীত স্কুল, কলেজ, প্রতিষ্ঠান দল তৈরী হয়েছে যা একটি প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্ব সামাজিক রাষ্ট্রীয় বৈধ পেশা যেখানে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যেখানে সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শত ব্যাস্ততার মধ্যেও প্রায় ৩-৫ মিলিয়ন লোকের সমাগম সম্ভব হয়।  যার ফলে পূর্বের কিতাবে ইসলামের বিশেষ করে নবী দাউদ আঃ বা আলী রাঃ সেই গভীর সুরের সঙ্গীত আজ গীত, নাত, খনার বচন, থেকে পল্লীগীতি, লোকসংগীত, মুর্শিদী, ভাটিয়ালি, বাউল থেকে আজ ফোক, দেশাত্মবোধক, ক্লাসিকাল, ব্যান্ড, কনসার্ট, এবং উচ্চ যন্ত্রসংগীত ডিজে কনসার্টে উন্নীত হয়েছে যা সমগ্র বিশ্বেই কম বেশি বিশেষ করে উভয় মুসলিম অমুসলিম-আহলে কিতাব অধ্যষিত অঞ্চলে ব্যাক্তিগতভাবে দলবদ্ধভাবে। এমনি নবীজি মুহাম্মদ সাঃ স্ত্রীদের সাথে মেরাথন দৌড়, তরবারি ঘোড়া দৌড় প্রশিক্ষণ, সাহাবীদের সাথে হাসি কৌতুক মজা করা, আড্ডা দেওয়া, ভ্রমণ বা ভ্রমণের মাধ্যমে ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান, ইত্যাদি বর্তমানে টোরিসম বা পর্যটন, খেলাধুলা গেম্স্ , সিনেমা শিল্প, সংস্কৃতি বিনোদন হিসেবে ব্যাপক আর্থিক দামী স্টেডিয়ামে অলিম্পিক্স বিনিয়োকসহ ব্যাপক প্রসার বিস্তার লাভ করেছে যাও একটি বিশ্ব প্রাতিষ্ঠানিক বৈধ পেশা যেখানে কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যার ফলে চা কফি শিল্পের মত সাংস্কৃতিক খাতে প্রায় নানাভাবে শতকোটি বিশ্ব জনসংখ্যার কর্মের ব্যবস্থা হয়েছে যা আবার পরোক্ষভাবে ট্যাক্স ভ্যাট, জিডিপি ইত্যাদি বাবদ প্রায় শতভাগ বিশ্ব নাগরিকের জন্য অবদান রাখছে। তবে এসবে যত উন্নতিই হোক, সেই সাথে আধ্যাতিক জীবনাচার ইবাদত চর্চা , শিক্ষা প্রচারারেও ইন্টারনেট মাইক টিভি সহ ব্যাপক উন্নতি অব্যাহত রয়েছে যা সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ইবাদত বিনোদন সমান্তরালেই চলছে বলা যায় যেখানে আধ্যাতিক জীবনাচার ইবাদত চর্চা , শিক্ষা প্রচারারেও এখন পর্যন্ত বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি অর্থাৎ ইবাদত ছেড়ে এসে মত্ত হয়েছেন এমন সংখ্যা নেই বললেই চলে বরং বিশ্বের বহু শিল্পী জীবনে একসময় গান বাজনা পেশা ছেড়ে ইবাদতে গভীরভাবে মনোনিবেশ করছে। অর্থাৎ ইবাদত থেকে দূরে সরিয়ে সম্পূর্ণরূপে বিপদগামী করে যে গান বাজনা পেশা তা কেৰল ক্ষতিকর বা সম্পূর্ণরূপে হারাম পাপাচার অর্জিত হয় বা চিহ্নিত হয় বা সীমালঙ্গন হয় তবে পেশাগতভাবে ধর্মগুরু হিসেবে তাঁদের কড়া বক্তব্য বা মতামত তাঁদের উদ্দেশ্যের দিক থেকে সঠিক রয়েছে কারণ মদ স্পর্শ করাও হারাম পাপাচার বক্তব্য যা মূলত মানুষকে পাপাচারে উদবুদ্ধ হওয়া বা জড়িয়ে পড়ার উপক্রম থেকে দূরে রাখতে আহ্ববান যা মূলত তাত্তিক আধ্যাতিক প্রচার প্রশিক্ষণ যা শতভাগ কর্মসংস্থান বা বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার প্রয়োজন নেই কারণ ধর্মের মূলতত্ত্ব বা পূর্ণ অবস্থানের বিশ্বাস বা আইনের সাথে অনেকে সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপোষ করে বা ছাড় দিয়ে সক্ষমতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে গোটা মানবজাতির সমাজ ব্যাবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে পেশাগত শতভাগ কর্মসংস্থান বা বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার জন্য জুরিসপ্রুডেন্স অনুসারে পলিসি মেকার , জুরিস্ট বা আইনজীবী আইনপ্রণেতা রয়েছে আর পলিসি মেকিং এর সময় অবশ্য ধর্মগুরুদের পরামর্শ ধর্মতত্ত্বসহ সকল বিষয়ই বিবেচনায় নিয়েই যৌক্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়

 

bn.wikipedia.org

ইসলাম সঙ্গীত - উইকিপিডিয়া

ইসলাম সঙ্গীতের মাঝে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি জটিল বিতর্কিত বিষয়।[][][][][] অনেক মুসলিম বিশ্বাস করেন ...

 

 


No comments:

Post a Comment