Tuesday, 3 June 2025

বিশ্বে মুসলমানদের বর্তমান সমস্যার শেকড় কোথায়, সেটা কি হজের বারায়াতে এবং সমাধানই বা কী ?

THE RIGHT THINKING 24


বিশ্বে মুসলমানদের বর্তমান সমস্যার শেকড় কোথায়, সেটা কি হজের বারায়াতে এবং সমাধানই বা কী ?   


মুসলমানদের বর্তমান সমস্যার শেকড় কোথায়, সেটা কি হজের বারায়াতে?  বারায়াত পবিত্র কুরআনের একটি শব্দ। এর অর্থ মূলত মুশরিক ও ইসলামের শত্রুদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদেরকে অপছন্দ করা।
পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মাঝেও মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদেরে প্রথা ছিল, কিন্তু ইসলামের আবির্ভাব এবং মহানবী (স.)'র নব্যুয়তপ্রাপ্তির পর থেকে ইসলাম ধর্মে এই প্রথাটি ব্যাপকভাবে চালু হয়। পার্সটুডে এসব তথ্য জানিয়েছে। এই লেখার বিষয়বস্তুর উপর আমার ব্যাক্তিগত মতামত ধর্মীয় জ্ঞানের আলোকে প্রদানের চেষ্টা করলাম।  নিন্মে বর্ণিত, 

ইউরোপ, আমেরিকা সহ অনেক দেশে এন্টিসেমিটিসম(ইহুদি-বিদ্বেষ)এবং ইসলামোফোবিয়া(ইসলাম ভীতি, বিদ্বেষ ) আইন রয়েছে। এসব নিয়ে এসব দেশে বিভিন্ন সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংস্থা, সংগঠন, দূত ইত্যাদি ব্যাবস্থাপনা রয়েছে। আইন মূলত রাষ্ট্রীয় সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও বজায়  রাখার একটি প্রক্রিয়া যা একটি নিয়ম বা নীতি যা আবার নিয়ম, নীতি, প্রথা,  কৃষ্টি কালচার, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চা থেকেও আসে যা থেকে আবার তা রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে আইনে  হয় তবে যেসব বিশ্বাস ও চর্চা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা সংস্থা যেমন পার্লামেন্ট-সংসদ দ্বারা রাষ্ট্রীয় আইন বা নিয়ম নীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়নি তা কিন্তু সমাজ বা রাষ্ট্র থেকে বাতিল হয় না বা অবৈধ্য হয়ে যায় না অথাৎ যেমন জামাতে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজপড়া ফরজ বা বাধ্যতামূলক যা একটি নীতি বা নিয়ম যা একটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চা যা একপ্রকার রাষ্ট্রীয় নয় এমন বা অপ্রাতিষ্ঠানিক আইন বা ধর্মীয় আইন ।  আবার প্রকাশ্যে সিগারেট গেলে ৫০ টাকা জরিমানা এটাও ধর্মীয় আইন যদিও রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক আইনও বটে। 

যাইহোক, ঠিক একই রকম নবীজি মুহাম্মদ সাঃ সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসেবে তাঁর জীবনে অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন যা স্বল্পকানলীন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ভবিষতের জন্য শিক্ষণীয় পালনীয় ও চর্চার বিষয় যদিও তাঁর পদ্ধতিও রয়েছে। উল্লেখ্য, অনেক বিষয়গুলোর মধ্যে এটিও একটি যে মুসলিম ও অমুসলিমদের সাথে আচার আচরণ , বন্ধুত্ব, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনাচার থেকে ধর্মীয় যোগাযোগ, নিয়মনীতি, আইন, ইত্যাদি প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েছেন। 

রাষ্ট্রীয় সংবিধান যা মদিনা সনদ নামেই পরিচিত দিয়ে মুসলিম ও অমুসলিম যৌথ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ঐক্যবদ্ধতা দিয়ে চলা যেমন শিখিয়েছেন আবার ধর্মীয়ভাবে কুরআন সুন্নাহ বিশ্বাসীদের মাঝে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা ও চর্চার পাশাপাশি তা অবিশ্বাসীদের মাঝে প্রচার প্রসার ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্র হিসেবে নিয়ে ধীরে ধীরে একটি দুটি করে করে প্রশিক্ষণে ব্যবস্থা করেছেন যেমন শুধু এক আল্লাহ কে বিশ্বাস ও সাহায্য চাওয়া ও এবাদত করা যেখানে ছাত্র বা অমুসলিম বা অবিশ্বাসী পরিপূর্ণ কুরআন সুন্নাহ চর্চাতো করবে নাই বরং নানাবিদ অইসলামিক বা ভুল, ত্রুটিপূর্ণ চর্চা করতে থাকবে যা স্বাভাবিক। তার মানে এই যে বিশ্বাসীরা কোনভুল ত্রুটি করবে না তবে সাধারণত বিশ্বাসের ক্ষেত্রে  ইচ্ছাকৃত এবাদতগত ভুল করবে না আর এটাকেই এক প্রকার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জামায়াতবদ্ধতা বা ঐক্যবদ্ধতা বুঝায় । অথাৎ সহজ ভাষায় বুঝতে চাই মূলত দুভাগে ভাগ করে বুঝলে ভালো হয় যেমন ধর্মীয় আধ্যাত্বিক ইবাদত(সৃষ্টিকর্তা ও পার্থনাসমূহ) ও রাষ্ট্রযন্ত্র বা শাসনত্রান্ত্রিক ব্যাবস্থাপনা(বিশ্ব জনগোষ্ঠী ও সৃষ্টিকুল পরিচালনা করা ও রক্ষনাবেক্ষন করা ) যদিও উভয়ই ইবাদত কাজ এবং নেকি সওয়াব অর্জিত হয় যেমন স্ত্রী মিলন ও ঘুমানোও সওয়াবের কাজ । 

ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যাঁরা মুসলিম বা বিশ্বাসী, অমুসলিম বা অবিশ্বাসী যেই বাধাপ্রদান করেছে নবীজি তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন, এমনকি সামরিক যুদ্ধও করেছেন যেখানে মুসলিম ও অমুসলিম আবার একত্রে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাজও একত্রে করে গেছেন এবং কখনো কখনো অবিশ্বাসীদের একত্র কাজ পরিহার করে যুদ্ধও করেছেন। তবে এই নয় যে যুদ্ধ করেছেন মানে কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের পরিহার করেছেন বরং যুদ্ধের ময়দানেও নবীজিকে তরবারি হাতে হত্যা করতে চেয়েছে, এক পর্যায়ে আক্রমণকারীর তরবারি মাটিতে পড়েগেছে কিন্তু নবীজি তাঁকে হত্যা না করে ক্ষমা করে দিয়ে ইসলামে প্রবেশের বা ইবাদত বিশ্বাসের ও চর্চার সুযোগ দিয়েছেন অথাৎ মুসলিম অমুসলিম সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ঐক্য শুরু থেকে সব সময় অব্যাহত ছিল এবং ধর্মীয়ভাবেও প্রশিক্ষণ অব্যাহত ছিল যা মূলত ছাত্রের সক্ষমতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁদের ওপর ধর্মীয় ইবাদত প্রচার ও প্রসার, প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো । এমনকি, রাষ্ট্রীয় আইনেও শিথিলতা প্রদর্শন করা হতো যেখানে বেশির ভাগ অপরাধকেই ক্ষমা করে দিয়ে শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন প্রচেষ্টাকে প্রাধান্য দেওয়া হতো যেখানে এটাকে উদারতা ও মহানুভবতা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় যদিও এসবে আইনি শাস্তি কার্যকরে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপত্তি বা বাধা ছিল না বা পাপ ছিল না অথাৎ শিক্ষক ছাত্র সম্পর্ক ছিল মুসলিম অমুসলিম সম্পর্ক যে ছাত্র মারাত্মক ভুল করবে বা জ্ঞান থাকবে না যা স্বাভাবিক  বিষয় যা মুসলিমদের কাছে আহামরি কোনো জটিল বিষয় নয় একত্রে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনাচারে আর এটাই হলো বাস্তবতা এবং নবীজি ও খেতাফতে রাশিদীন সাহাবীগণ আমৃত্য পর্যন্ত এসব আদর্শ মেনে চলেছেন ও পরবর্তীদেরও একই নির্দেশনা দিয়েছেন ।

এন্টিসেমিটিসম(ইহুদি-বিদ্বেষ)এবং ইসলামোফোবিয়া(ইসলাম ভীতি, বিদ্বেষ )  বলে তখন কিছু ছিল না এবং বর্তমানেও নেই বিশেষ করে ইসলামী নিয়ম নীতিতে ও বিশ্বাসে যদিও চর্চার ইসলামে বর্তমানে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি ভুল ভ্রান্তি রয়েছে যা আমাদের মুসলিমদের দোষ বা মানবজাতির দোষ যেখানে ইসলামের তত্বের কোনো দোষ ত্রুটি নেই।

অন্যদিকে, সমাজে ও রাষ্ট্রীয়, এমনকি পারিবারিক জীবনে মুসলিম ও অমুসলিম একত্রে বসবাসের এই নয় যে, মদিনা সনদের মতো শাসনত্রান্তিক দায়িত্ব ভাগ ভাগ করে করার মতো ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চায় আপোষ করবে ভাগ ভাগ করবে। অথাৎ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মুসলিমদের স্ত্রী বা দাসী উপপত্নী ইহুদি খ্রিস্টান বা সাবেয়ীন বা অবিশ্বাসী নাস্তিক হতে পারে যেখানে মুসলিমকে তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস ধারণ ও যথাসম্ভব চর্চা করে আবার অমুসলিমদের প্রশিক্ষণ, প্রচার প্রসার করতে হবে যা হলো মূলত মুসলিম লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দায়, দায়িত্ব, কর্তব্য । ঠিক এই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দায়, দায়িত্ব, কর্তব্য প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়েনের ক্ষেত্রে মুসলিমকে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ ধারণ ও অনুশীলন করতে হয় যেমন ছাত্রকে কমিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই নয় যে সে নিজে তাঁর পূর্ণ জ্ঞান, বিশ্বাস, চর্চা পরিহার করবে বা ভুলে যাবে বা পূর্ণ প্রশিক্ষণ দিতে হবে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ত্যাগ করবে বরং তা তাঁর মনে ধারণ করবে ও নিজে চর্চার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবে ।

 যেমন এক আল্লাহ বিশ্বাসে শুধু সাধ্যমত ইবাদত চালিয়ে যাও বলা এই নয় যে ছাত্রটি কিয়ামত পর্যন্ত শুধু এখানেই থাকবে , আর কোনো উন্নতি করবে না , বিষয়টি এমন নয় বরং প্রতিনিয়তই মুসলিম অমুসলিমদের খোঁজখবর করবে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে ধীরে ধীরে তাদের উন্নতির প্রচেষ্টা করে যাবে এটাই দায়িত্ব। যার ফলে বেশিরভাগ ইবাদতই মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধভাবে হজের মতো, জুমা, নামাজ দলবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে চর্চা করতে নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে অমুসলিম ছাত্রদের মতো মূলত তাঁর শ্রেণীর পূর্ণ পাঠ্য সিলেবাস জানবে এবং যতদূর সম্ভব পাঠ নিয়ে শিখে চর্চা করতে থাকবে স্বেচ্ছায়, কোনোপ্রকার জোরজুলুম ব্যাতীত । 

আর ঘৃনার বা বিদ্ধেষের ব্যাপারে যে বিষয়টি নির্দেশিত হয়েছে যেমন কোনো অমুসলিম সে প্রচলিত হালাল খাবারের সাথে অপবিত্র বা হারাম খাবার যেমন গোবর, মলমূত্র খায়, গায়ে ছাই ভস্ম ইত্যাদি মাখে কিন্তু সে মসজিদে জামায়াতে নামাজেও আসে যদিও সে মুসলিমদের কথা পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে তার এই বিশ্বাস ও চর্চা পরিহার করেনি। এখন তাঁকে কিন্তু নামাজে আসা থেকে বিরত রাখা যাবে না। তবে তাঁর এই কর্মকে অবশ্যই ঘৃণা করতে হবে কারণ অইসলামিক কাজকর্ম যা পাপাচার অবশ্যই একজন মুসলমানকে ঘৃণা , বিদ্বেষ, অপছন্দ করতে হবে আর এটাই ধর্মীয় আইন বা নিয়ম নীতি যা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় আইন নয় যদিও রাষ্ট্রে প্রকাশ্যে জমায়েতে সিগারেট ধূমপান আইনের মতো নিষিদ্ধ খাবার খাওয়া প্রাতিষ্ঠানিক আইনও হতে পারে তা মূলত নির্ভর করে আগেই উল্লেখ করেছি ভূখণ্ডে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সমাজ, রাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণ, সক্ষমতা, চাহিদা, প্রয়োজন, সংস্কৃতি, দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প মেয়াদি ভিশন লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ওপর , ইত্যাদি সামগ্রিক বিষয়ের ভিত্তিতে । যেমন সৌদি আরবে সবাই ৯৯% ই মুসলিম , তাই সেখানে মদ উৎপাদনই নিষিদ্ধ করে আইন সম্ভব হয়েছে আবার ইউরোপ আমেরিকায় মুসলিম বসবাস থাকা স্বত্তেও মদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ আইনে বৈধ রাখতে হয়েছে। এখন তার মানে এই নয় যে ইউরোপের মুসলিমরা মদ কে ঘৃণা, বিদ্বেষ, অপছন্দ করবে না ধর্মীয়ভাবে।

 ঠিক একইভাবে মূর্তিপূজা বা বহু ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসীদের এসবের আরাধনা বা স্বীকৃতি বা প্রার্থনা মুসলিমদের গভীরভাবে গভীর একটির সাথে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা, অপছন্দ করতে হবে এবং তাঁদের সাথে একত্রে বসবাস করে সামাজিক রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম যৌথভাবে করেও তাঁদের এসব থেকে উন্নতির ব্যবস্থা নিয়ে ইসলামী ইবাদত প্রচার প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব ধ্বংস বা পরিহারের তীব্র প্রচেষ্টা করতে হবে আর এটাই ইসলামী আদেশ, দায়িত্ব কর্তব্য। এখন ধর্মীয় বিশুদ্ধ ও পূর্ণ বিশ্বাসে ও চর্চায় জোর জুলুম বল প্রয়োগ বিয়ষটি না থাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে তাঁদের একমাত্র শিক্ষক ও প্রচারক হিসেবে যতটুকু সম্ভব করা যায় ঠিক ততটুকু করতে নির্দেশ বিদ্যমান। অথাৎ মুসলিমদের স্ত্রী শুধু এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী বা দাসী উপপত্নী নাস্তিক তাঁকে প্রতিদিন বা প্রতি ওয়াক্তের নামাজে নামাজ পড়ার বা শিক্ষার কথা বলা যাবে না যদি সে খুবই বিরক্ত বা রাগান্বিত হয় যা আবার সংসারে একত্রে বসবাস করা জটিল করে তুলবে । অথাৎ অমুসলিম অসুস্থ বা খাবার নেই , ইত্যাদি বিষয়ে সে একজন মুসলিম মানুষের মতই মানুষ ভাই বোন হিসেবে তাকে সর্বাত্মক মনুষ্য গুণাবলীর স্পর্শ বা ভালোবাসা, বৈশিষ্ঠ্য প্ৰদৰ্শন করতে হবে। যার ফলে মুসলিম অমুসলিম মানুষ হিসেবে একই শ্রেণীর বা প্রজাতিভুক্ত হওয়ায় মনুষ্য গুণাবলীর সকল ভালো আচার আচরণ করতে হবে বলেই একে ওপরের সাথে বন্ধত্ব, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ব, পারিবারিকতা গড়ে ওঠবে। এমনকি দুজন মুসলিম বন্ধু বা দুজন মুসলিম স্বামীস্ত্রী একে ওপরের ইবাদত চর্চায় ধার্মিকতার পার্থক্য রয়েছে , কেউ কম বা কেউ বেশি ধার্মিক হয়ে থাকে তবে ঘৃনার বা অপছন্দের মাত্রা সহনীয় বা বাস্তবসম্মত পর্যায়ে থাকে বিদায় একে অপরে একত্রে শান্তিপূর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ বসবাস করতে  পারে আর এটাই ভুলত্রুটিতে ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, অপছন্দ  মানদণ্ড যা মূলত এন্টিসেমিটিসম(ইহুদি-বিদ্বেষ)এবং ইসলামোফোবিয়া(ইসলাম ভীতি, বিদ্বেষ ) বিষয়বস্তুর মতো নয় কারণ এখনে ব্যাপক ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, অপছন্দ প্রদর্শন করা হয় । অথাৎ   এন্টিসেমিটিসম(ইহুদি-বিদ্বেষ)এবং ইসলামোফোবিয়া(ইসলাম ভীতি, বিদ্বেষ ) বিষয়বস্তুতে দেখা যায়, এখানে ঘৃণা বিদ্বেষের কারণে একজ আরেকজনকে চাকরি বাকরিতে  বৈষম্য করে, এসবে ব্যাপক সামাজিক ক্ষোপ সৃষ্টি হয়ে এমনকি একে অপরকে শারীরিক আক্রমণ পর্যন্ত করে, হত্যা কাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটে। ফার ফলে মূর্তিপূজা ঘৃণা করলেই মূর্তিপূজারী ব্যাক্তিকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য, সামাজিক রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার সুযোগ ও প্রয়োজন পড়ে না বা নাই । যেমন সওয়াবের উদ্দেশ্যে এসব মূর্তি পূজায় মুসলিম দান করতে পারে না বরং রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মূর্তি পূজার অনুষ্ঠান আয়োজন বা নিরাপত্তা ভাতা দেওয়ার কোনো বাধা নেই। এমনকি সওয়াব পাবে না এই বিশ্বাস নিয়ে মুসলিম এখানে রাষ্ট্রীয় ফান্ডে ট্যাক্স বা অর্থ দিতে পারবে কারণ সে মুসলিম হিসেবে ধর্মীয় সাহায্য করছে না বরং রাষ্ট্রীয় সামাজিকভাবে মানবিক সাহায্য করছে । আর মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি তাঁকে তাদের জন্য ইসলাম ধর্মীয় প্রচার প্রসার প্রশিক্ষণও অব্যাহত রাখতে হবে। অথাৎ অ ইসলামিক কাজকর্ম ঘৃণার , অপছন্দের, বিদ্বেশের একটি সীমারেখা বিদ্যমান যেখানে তাদের অপছন্দের কাজের বিশুদ্ধতার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে।   আর সেই লক্ষ্যেই মূলত গোটাবিশ্বে এন্টিসেমিটিসম(ইহুদি-বিদ্বেষ)এবং ইসলামোফোবিয়া(ইসলাম ভীতি, বিদ্বেষ ) এই আইনটি প্রনয়ণ করে তা উন্নতির সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ বিদ্যমান। 

মক্কা মদিনায় নবীজি ও তাঁর সাহাবী ইথিওপিয়ার আবেসিনিয় খ্রিস্টান রাজা নাজাশীর মতো বা সম্রাট হায়দার আলী খান ও ব্রাহ্মণ পন্ডিত রামচরণ পুনাইয়ার মতো একত্রে পরিপূর্ণ ইসলামী বিধিবিধান, ইবাদত ধীরে ধীরে সাধ্যমতো গোটা মানবজাতির মধ্যেই প্রতিষ্ঠা করা ও বজায় রাখার পদক্ষেপ নেওয়া। অর্থাৎ জুমার খুতবার মতো মুসলিম ও শুধু এক আল্লাহ বিশ্বাসী ছোট মুসলিমও হজের ইবাদতে অংশগ্রহণ করে পবিত্র হতে পারে। উল্লেখ্য, হজ্ সবচেয়ে বড় ইবাদত উৎসব যেখানে মানুষ সর্বশক্তিমান এক আল্লাহ ঈমান, নামাজ, রোজা, জাকাত, কুরবানী, ঈদ, আকীকা, ঐক্য(বিশ্ব রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক), হালাল হারাম, নারীপুরুষ সুশৃক্ষলতা সামাজিকতা, আবিষ্কার অনুসন্ধানী ভ্রমণ, বিনোদন, কেনাকাটা ব্যবসা বাণিজ্য, সৎকর্ম একত্রে হয়ে থাকে যা অবশ্য শান্তিকালীন সামাজিক স্থিতাবস্থা । 


উল্লেখ্য, তারই লক্ষ্যে আমি ব্যাক্তিগতভাবে অবশ্য প্রকল্প প্রনয়ণ করেছি যেখানে অমুসলিমদের জন্য ধীরে ধীরে ছাত্র হিসেবে উন্নতির ব্যবস্থা করেছি তাঁদের সামগ্রিক জীবনাচার বিবেচনায় নিয়ে যাতে তাঁরা ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ কুরআন সুন্নাহয় একদিন উন্নীত হতে পারে। তারপর গোটা মানবজাতি মুসলিম তথা পরিপূর্ণ কুরআন সুন্নাহয়  উন্নীত হয়ে গেলে তখন তা ধরে রাখার জন্য প্রকল্প দিয়েছি যেখানে ততিতের ইতিহাস মুছে দিতে বলেছি যে অতীতেও মুসলিম ছিলে, এখনো আছো, সমগ্র বিশ্বেই অতীতেও মুসলিম ছিলে, এখনো তাই আছো অথাৎ যাকে বাংলা ভায়ায় বলে এমনভাবে অ ইসলামিক মানদন্ড বা কার্যক্রম ধ্বংস করা যা নির্মূল ও নিশ্চিন্ন করা যাতে ভবিষতেও আবার তা আগমণ না ঘটে বা উদ্ভব না হতে পারে তাঁর যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অথাৎ গোটা মানবজাতি একবার মুসলিম হওয়ার পর যাতে কোনো অবস্থাতেই পুনরায় অমুসলিম না হতে পারে যদিও আসলে তা সম্ভব হবে না চূড়ান্তভাবে কারণ আল্লাহর প্রণীত মহাবিশ্বের সাংবিধানিক নিয়মেই গোটা মানবজাতি মুসলিম হয়ে কিছুকাল অতিক্রম করার পর একদিন বেশিরভাগই মুশরিক শিরক কুফরকারী পাপাচারে লিপ্ত হয়ে অমুসলিম হয়ে যাবে বা মূর্তিপূজার পুনরায় উদ্ভব ঘটবে আর এভাবেই একদিন মহাবিশ্বের চূড়ান্ত পতন ধ্বংস ঘটবে । অথাৎ যত মহাসতর্কমূলক পদক্ষেপই মানবজাতি আমরা নেই না কেন অ ইসলামিক শিরক কুফরী বড় পাপাচার মূর্তিপূজার উদ্ভব ঘটবেই যা এক সৃষ্টিকর্তা অবিশ্বাসী হয়ে মানুষ একদিন পৃথিবী ধ্বংস করবেই যা সৃষ্টিকর্তারই বিধান তবে দীর্ঘকাল যাতে দুনিয়াতে মানবজাতি ঠিক থাকতে পারে তাঁর লক্ষ্যে আল্লাহ নানাবিদ পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রচেষ্টা করতে বলেছেন কারণ কিছুকাল মানবজাতি বিশুদ্ধভাবেই ইবাদত করে যেতে পারবে তাঁরপর একসময় ইবলিশ আজাজিল শয়তানের প্ররোচনায় পুনরায় বড় আকারে শিরক কুফরী মূর্তিপূজা পাপাচার যা এক সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস বিরোধী অবস্থার সৃষ্টি বা উদ্ভব ঘটিয়ে মহাবিশ্বের সমাপ্তি ঘটাবে যা সৃষ্টিকর্তারই সম্পূর্ণ পূর্ণ ইচ্ছায় ও নিয়ন্ত্রণেই তা ঘটবে কারণ শয়তান আল্লাহর নিয়ন্ত্রিত একটি সত্বা বা প্রাণী মাত্র । যার ফলে গোটা মানবজাতির মধ্যে ভুলভ্রান্তি, ত্রুটি থাকলেই তাঁর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ বা সম্পর্কচ্ছেদের একটি মানদণ্ড রয়েছে যা মূলত খুবই সহনীয় অথাৎ একটি পারিবারিক পরিবেশ বা একই ক্লাসে বিভিন্ন ধর্মের, বর্ণের, গোত্রের, অঞ্চলের ছাত্রছাত্রী বা একই মসজিদে বা হাসপাতালে বা লঙ্গরখানায় বহু কাতারের মুসল্লি বা আশেপাশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী যেখানে নাস্তিকও বিদ্যমান ।

 অন্যদিকে, বাস্তবতা হলো এক মুসলমান আরেক মুসলমানের সাথেই এমন দ্বন্দ্ব করে যে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটায় আর সেখানে অমুসলিম বা বিপরীত গোত্রের বিশ্বাসের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ এমনভাবে পোষণ করে যে রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক আইন করে তা মোকাবেলার চেষ্টা করতে হচ্ছে। এমনকি আমি নিজেও আমার প্রকল্পে ১০,০০০ অমুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাসের গোত্রকে বিভিন্ন নামে দলে দলে ভাগ করে দিতে বাধ্য হয়েছি যা জাতিসংঘকেও ধর্মীয় স্বাধীনতার আওতায় দিতে হয়েছে । তবে বড় আকারে হতাশ হওয়ার তেমন কিছু নেই কারণ সমগ্র বিশ্বেই বর্তমানে মুসলিম ও অমুসলিম একত্রে একই রাষ্ট্রে বসবাস করছে এবং জাতিসংঘ একটি বিশ্ব সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার দায়িত্ব ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রেখেই গোটা মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে শান্তি, নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন প্রচার প্রসার  বাস্তবায়ন করা। 

মানব জাতির বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য, ''দুনিয়া ও আখিরাত''। আইন কাননেও দুটিই বিবেচনায় নেওয়া হয়। দুনিয়া হল আখিরাতের শস্যক্ষেত্র।  আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’- সূরা জুমআ : ১০.
 আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’ রাসুল (সা.) এক সাহাবীকে সহজ দোয়া  শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’ দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি। বর্তমানে অমুসলিমদের ধর্মীয় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে যেখানে প্রায় পরিপূর্ণ কুরআন সুন্নাহ বিশ্বাস ও চর্চার কাছাকাছি পৌঁছেছে যা বইয়ে পূর্বেই আলোচনা করেছি। এমনকি একটি গণতান্ত্রিক শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও উভয়ের ঐক্য ও উন্নতি হয়েছে। যদিও আল্লাহ মনোনীত দায়িত্ব মুসলিম অমুসলিমের আধ্যাত্বিক শিক্ষক তবে বর্তমানে দীর্ঘদিন মুসলিম থেকে জ্ঞান প্রশিক্ষণ নিয়ে অমুসলিমই প্রায় আজ বিশ্ব নেতৃত্ব দিচ্ছে যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রায় ৯০-৯৫% তাঁদেরই দখলে এবং মুসলিমদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে শিক্ষক হিসেবে । নবীজির স্পষ্ট নির্দেশ যে কোনো ব্যাক্তির কাছ থেকেই জ্ঞান শিক্ষা করতে হবে কারণ মুসলিম ও অমুসলিমের আহলে কিতাবের জ্ঞানীদেরই কুরআন সুন্নাহর প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। । তবে অধিক বিশুদ্ধতা প্রচার ও চর্চায় আধ্যাত্বিক ইবাদতের শিক্ষকতার নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত মুসলিম দিতে সক্ষম হচ্ছে। 

পরিশেষে, যাইহোক, গোটা মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সেই প্রত্যাশা করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করছি এবং রহমত -বরকত ও তৌফিক আশা করছি ।




No comments:

Post a Comment